পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°C 曾 পাচুঠাকুর । বাঙ্গল ভাষার বিরোধিগণ আরও বলেন, যে বাঙ্গাল। যখন মাতৃভাষা, তখন শিক্ষা করিতে এত কষ্ট স্বীকার করিব কেন ? অথচ লিখিতে, বুঝিতে গেলেই কষ্ট স্বীকার না করিলে উপায় নাই। যে জাতি, গুলি ডাগু খেলিয়, গুলি গাজা ফুকিয়, পিতার, পিতামহের, মাতামহের এমন আরও দশ জনের বিষয় হস্তগত করে, তাহার এরূপ তর্ক করিবার অধিকার অবশুই আছে। কিন্তু জাতিভুক্ত সকল ব্যক্তিই এমন সৌভাগ্যশালী নয়; অনেককে মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া, দুই প্রাস্ত এক ঠাই করিতে হয়। ঈদৃশ অবস্থানম লোকের জন্ত বাঙ্গালাটা রাখিয়া দিলে ক্ষতি কি ? যাহার। ধনবান, জ্ঞানবান, বিদ্যাবান, স্বদেশবৎসল, বাক্যস্বচ্ছল, তাঙ্গর এখনও বাঙ্গলা শেখেন না, তখনও শিখিবেন না। সুতরাং তাঙ্গাদের কোন কষ্ট নাই। তবে জোর করিয়া ভাষাটী উঠাইয়া দিয়া কাজ কি ? ভাষা উঠাইয়া দিতে ইহঁরা যে পরিশ্রম করিতে উদ্যত, সেই পরিশ্রম অন্ত কার্য্যে নিয়োগ করিলে তঁহাদের মুখ হইতে পরিবে, অভাগারা ও কিছু দিনের জন্ত রক্ষণ পাইবে । ক্রমে বড় দরের লোকের মনোভাব চুইয়া চুইয়া ক্ষুদ্র দলের ভবাস্তর করিখ দিবে, স্তুহাতে সন্দেহ নাই। তবে ব্যস্ত হইয়া কাজ কি ? কেহ কেহ বলেন যে, বাঙ্গালায় শিখিবার কোনও কথা নাই, পড়িবার কোনও পুস্তক নাই, তবে এমন ভাষা থাকিতে দিব কেন ? একথা সম্পূর্ণ সঙ্গত বলিয়া স্বীকার করিলে কোন ভাষাই টেকিতে পারে না। কিন্তু আমার বিশ্বাস এই যে, ভাষা মাত্রেই উঠিয়া যাউক এরূপ অভিপ্রার কাহারও নহে। কারণ সকল ভাষারই শৈশৰ মােৰন আছে বলিয়াই সাধারণের প্রতীতি। বাদালায় না হয় সেই শৈশব মনে করা যাউক ; বাহারা পণ্ডিত, র্তাহারা বাঙ্গালাকে গলছৰ