পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা । (t এবং রাজা রামমোহন রায় এই কয়েকজনকে লেখকশ্রেণীতে বেতন দিয়া নিযুক্ত করিয়া আমরা আসরে অবতীর্ণ হইলাম। ইহাতে কেহ দুঃখিত হইবেন না। সত্বরেই যাহাতে লেখকসংখ্যা বৃদ্ধি করা যাইতে পারে, তার বন্দোবস্ত করা হইয়াছে, “শকুন্তলগুহের বাহিরে যে শাদ ফর্দ ঝুলাইয়া রাখা হইয়াছে, তাহ আমাদেরই ; সেখানকার অনুগ্রাহকবর্গ তথাকার স্ব স্ব কাৰ্য্য সম্পাদনানন্তর সেই ফর্দে নাম লিখিয়া যাইবেন, আমার তীহাদের বেতনের বন্দোবস্ত করিয়া তদিগের দ্বারা রচাইব। -- পঞ্চানন্দের এক কলম অর্থাৎ এক লেখনী লিখিলে দুই টাকা দেওয়া যাইবে ; ৰাহীদের লেখা পত্রস্থ হইবে, তাহাদিগকে দেওয়া বাইবে না; যাহারা বেতনের জন্য পীড়াপীড়ি করবেন, তাহাজের লেখা লওয়া যাইবে না। পঞ্চানন্দ কখন দেউলিয়া পড়িবে না, বুক ঠুকিয়া এ কথা ঘোষণা করা যাইতেছে। இ এবারে যে যে প্রবন্ধ প্রকটিত হইল, তাহ পাঠ-সাপেক্ষ ; সুতরাং তৎসমস্তের গুণ গান করিয়া পঞ্চানন্দ জঘন্ত আত্ম-তৃপ্তি সাধন করিতে পরাম্মুখ। এতদ্ভিন্ন পঞ্চানন্দ অতিশয় লাজুক, সেই জষ্ঠ প্রথম মজলিসে গলা ছাড়িয়া গান করিতে চাহেন না। এবারে নিদাষের নব-জলদ-সঞ্চার, করক-নিৰ্ঘোষ, অশনিসম্পাত, বুহ্যদাম, এবং কদাচ শিলাবর্ষণে পর্য্যবসান। কিন্তু আগামী বারে প্রাবৃটের মূষলধার, ধরিত্রী-কর্দম-চৰ্চিতবপু, দর্দরের স্বরসাধন ওগায়রহ মনোহায্যের প্রাচুর্য বিদ্যমান দেখা যাইবে। ঈশ্বর বিজ্ঞাসাগর ওজোময়ী সীতার বনবাসের চ্ছন্দে “মনসার ভাসান, রামমোহন রায় “কুলবালার বিষম জালা, বঙ্কিম চাটুৰ্য্যে “স্ত্রী-পুরুষের জাতিভেদ কত দুনুহইয়াছে এবং তাঙ্গ,উন্মুলনের উপায় কি?” প্রবন্ধ দিতে • প্রতিশ্রাব করিয়াছেন। অপর শুভ কিমধিকমিতি।