পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোরাচাদ । * > * বলিতেন না। আমি কিন্তু এ নিয়মের অধীনতা স্বীকায় করিব ল, যেখানে যেমন সুবিধা, সেখানে সেই নাম করিয়া গোরাটা-গৃহিণীর পরিচয় দিব । বসুমতীর বয়স উনিশ বৎসর মাত্র, বর্ণ গোর, এমন কি চুলগুলি পৰ্য্যন্ত খুব কাল নয় ; গড়ন দীর্ঘাকার, একহারা, তবে সম্প্রতি তেহারা বলিয়াই মনে হয় ; কপাল ছোট ; চক্ষু জটি ডাগর, কিন্তু কোলে বস ; নাক সুদীর্ঘ; টিকলে, সরু ; গাল দুখানি মরা মর, উপর ঠোঁট খুব পাতলা, নীচের খানি পুরু, খুতনী খুব অল্প। বস্তু মতীর সুর চড়, কিন্তু মিহি, অল্পই নাকিতে ওঠে। এ হেন বসুমতী আসন্নপ্রসবা সেই মজলিসে বসিয়া আছেন, কদাচ দুই একটী কথ। কহিতেছেন, কিন্তু এত গেলে তাহার কথা ধরা যাইতেছে ন । যাহারা দেখিতে, দেখা করিতে বা দেখা দিতে আসিয়াছেন, তাহার। নিজে নিজে কথা কহিয়াই পরিতুষ্ট; সুতরাং বসুমতীর কথা বুঝিলেও তাহদের কোনও ক্ষাত হইতেছে না। গোরাচাদ বাড়ীতে ছিলেন না । “স্ত্রী উত্তোলনী” সভার অদ্য বিশেষ অধিবেশন; সুতরাং সভাপতি গোরাচাঁদ বেলা একটার সময় সেইখানেই গিয়াছিলেন। স্ত্রীর অবস্থা মনে ছিল না, বাড়ীতে এ মজলিস বসিবে তাহারও সংবাদ পান নাই, কাজে কাজেই সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত ঘরে ফিরিয়া আসিলেন না । পাড়ার মেয়েরা গোরাচাদকে বড় ভয় করিত, আজি বাহিরে গোরাচাদের বিলম্ব হইবে টের পাইয়া মেয়ের তাহার বাটতে আসিয়া জুটিগছিল। এমত অবস্থায়, সন্ধ্যায় পর গোরাচাদ যখন বাড়ী আসিলেন, তখন মজলিসের কিছুই দেখিতে পাইলেন না। L গোয়াটাদের পরিচয় দিবার এই সুযোগ হইয়াছে, অতএৰ পাঠকপ ঠিকাগণের সহিত ভঁাছার আলাপ করাইয়া দেওয়া হাউক ।