পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ー、2.の পাচুঠাকুর । বক্তৃতা করিতে করিতে, গোরাচাদ প্রাঙ্গণে আসিয়ী উপস্থিত হইলেন । পুলের ভাব দর্শনে গোরাচাদের মা কাতর ভাবে কঁদিয়া উঠিলেন, তাহার হাতের এক গোছা রুট উননে পড়িয়া পুড়িতে লাগিল, পাভার লোক একে একে উপস্থিত হইতে লাগিল । মই এক হুলস্থল ব্যাপার, কিন্তু গোরাচাদের বিরাম नाई, নিবৃত্তি নাই । বাস্তবিক সদবক্রীর, মুকবির, প্রতিভাশালী বাক্তি মাত্রেরই গুণই এই ; ইহঁর তন্ময় হইয়া বাহ্যজ্ঞানশূন্ত হইয় পড়েন। নহিলে প্রতিভা কি ? অসাধরণত কোথায় ? • অনেকক্ষণ পরে গোরাচাদের চটক ভাঙ্গিল , তখন তিনি বুঝিতে পারিলেন যে, অনেক লোক উপস্থিত হইয়াছে , বুঝিতে পরিলেন যে আপনি বক্তৃতা করিতেছেন ; আর কথাটা না কি নিজ গৌরবের কথ,—তাই মনে মনে একটু ইতস্তত করিয়া গোরাচাদ বুঝিতে পরিলেন, যে শুদ্ধ বক্ততার ইন্দ্রজালে জড়িত এবং বিমোহিত হইয়াই এত লোক সমবেত হইয়াছে। গোরাচাদ দ্ধিবক্ত। — জনতাই তাহার ঘর বাড়ী, জনতাই তাহার অস্থি-মাংস ; মৎস্যের যেমন জল, নক্ষত্রের যেমন আকাশ, অগ্নির যেমন ইন্ধন, জনতাও গোরাচাদের তদ্রুপ , সুতরাং গোরাচদ বিম্মিত হইলেন না, সিম্মিত বদনে হতবুদ্ধি জননীকে বললেন—“মা, এক গেলাস জল নে এস দেখি,”--বলিয়৷ সেই স্ত্রীবহুল লোক-সমুদ্রে নয়ন সঞ্চালনপুৰ্ব্বক দেখিলেন, সংবাদপত্রের লেখক তাহাতে ভাসিতেছে কি না । দেখিলেন, কিন্তু বৃথা ! যে হেতু, সংবাদপত্রের সম্পৰ্কীয় নরনারী কেহু তথায় ছিল না। সংসারের দোষেই এই , শিয়রে সময় মত ইতিবেত্ত থাকে না বলিয়া আমাদের কত কওঁ সোণার স্বপ্ন স্বপ্লেই বিলীন হইয়া যায়। 电 জননী জল আনিবার অভিপ্রায়ে স্বরের ভিতর গিল্প দেখিলেন