পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रे, * २. পাচুঠাকুর। সেই রাগের ভরেই গোয়াটা গৃহ মধ্যে প্রবেশ করিয়া, জননীর উপস্থিতির প্রতি দৃকপাত না করিয়া, ধীর গম্ভীর স্বরে বলিলেন,— “বসন ! এই তোমাকে শেষবার জিজ্ঞাসা করছি তুমি, আমাকে প্রসব করতে দিবে কি না ?” “বসন” নিরুত্তর । পূৰ্ব্ববৎ এ পাশ, ও পাশ, হা হুতাশ করিতে লাগিলেন । , “বাবা গোরাচাদ—” বলিয়া জননী মুখ ন্যাদান করিতে না করিতে, একবার তীব্র দৃষ্টির পর এক লম্ফ প্রদানে গোরাচাদ গৃহ হইতে বহির্গত হইলেন ; এবং সেই রাত্রি নয়টার সময়ে স্ত্রীর দুরভিসন্ধির প্রতিবিধান কল্পে কিংকৰ্ত্তব্য স্থির করিবার জন্ত সভাগৃহ উদেশে যাত্রা করিলেন। মনে মনে সংকল্প করিয়া চলিলেন যে, স্ত্রী-পুরুষের সাম্য বিধান জন্ত আবগুক মত বল প্রয়োগ করাও বিহিত, সভায় এইরূপ অবধারণ করিয়া সভার কার্য্য বিবরণে ইহা লিপিবদ্ধ করাইয়া লইবেন । নচেৎ এ সমস্ত পূরণের উপায়াস্তর নাই । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । [পাঠক পাঠিকার মরণ বচন গ্রন্থকর্তারই হাড়ে। ] তখন দ্বিতীয় প্রহর রাত্রি উত্তীর্ণ হইয়াছে। এমন যে কলিকাতা সহর, তাহাও এক প্রকার নিস্তন্ধ হইয়াছে ; এত যে জনস্রোত, তাহাও যেন শুখাইয়া, শীর্ণ হইয়া সঙ্কুচিত হইয়া বালুকারাশি মধ্যে অন্তর্ধান হইয়াছে। (পাঠক মহাশয় সমীপেযু-জ্ঞানস্রোতের অক্ষরোধ स्रांभि श्रदछं মানি ; কিন্তু এম্বলে বালুকরোশি যে কোন পদার্থের উপমান, তাহা আমি অবগত নছি)। কেবল কদাচ কোথাও