পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিশাহর । ২২৯ ভূঞাই। আশার মুখপ্রান্ত সংস্পৰ্শ করাইয়া ধীর শান্ত নায়ককেও গ্রন্থকার ভদ্রাসনের খিড়কির বাধা ঘাটের নিয়ে অতল সাগর তলে নিমজ্জমান রাখিয়া ভদ্রলোকের মত সরিয়া দাড়ান। গ্রন্থকারের এই রীতি । এক্তেয়ার আছে বলিয়াই এই কার্দানি । আমিও ত গ্রন্থকার । গোরাচাদ অনন্তক্ষেত্র ব্যাপিয় অনন্তকাল পর্য্যস্ত পাহারাওয়ালতড়িত হইয়া দোঁড়িতে পারেন ; মুহূৰ্ত্ত মধ্যে পাহারওয়ালার করাল কবলে কবলিত হইতে পারেন ; অথবা বিপদ-প্রশান্তমহাসাগরে সন্থরণ লীল দেখাইয়া পাঠকের অলক্ষিতে, পাঠিকার অতর্কিতে বল ভূমিতে পদার্পণ করিয়া হাস্যরাশি বিকীর্ণ করিতে পারেন । পাবেন বটে, কিন্তু আমি রাজি হইলে ত ? সেই জন্তই বলিয়াছি, পাঠক-পাঠিকাব মরণ বাচন গ্রন্থ কৰ্ত্তারই হাতে। এখন স্থাপনাদের ধৈর্য্য পরীক্ষা করিবার জন্ত তামি একবার বিশ্ৰাম লভিব , আপনার ভবিতে থাকুন। கது_ দিশাহার। “তুমি কার কে তোমার, Q কারে বলে রে আপন ?” ” Q নববিধানের সেন মহাশয়কে এই কথা জিজ্ঞাস করা যাইতেছে । “সাধারণী" একবার এই প্রশ্নের উত্তরে বলিয়াছিল “আমি তার, সে আমার, • তারে বলিয়ে আপন।” সৰ্ব্বনামে "সাধারণী সম্ভোষ হয় ; পঞ্চানন্দের হইবে কেন ? তাই এ কথাটা তোলা গেল ।