পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or *ीहूर्छांडूव्र । আমার এই সৌভাগ্য হইবে না বলিয়া আশঙ্কা আছে ; কিন্তু আমার নাম অমর হইতে পারে না, ইহা তোমাকে কে বলিল ? আফ্রিকার মরুভূমে, নাগরার জলপ্রপাতে ; আলদের উদ্ভূত্র শিখরে, সুয়েজের সঙ্কীর্ণ খালে ; চীনে, তাতারে ; ফ্রান্সে, জৰ্ম্মণীতে ; মাড্রিডে, সেন্টপিটসবর্গে—এই ত্রিভূবনে আমার জন্য একটাও বিদ্যাভূষণ নাই, ইহা কোন প্রাণে বিশ্বাস করিব ? তবে, তবে বল দেখি আমি যদি না লিখিয়া রাধি—তবে সে বিদ্যাভূষণটির দশ কি হইবে ? অগত্যা আমাকে আন্ধচরিত লিখিতে হইতেছে। তৃতীয় কারণ, সাফ পরোপকার। প্রকৃতিতে প্রকৃত মাধুরী নাই, প্রকৃত সৌন্দৰ্য্য নাই, অনেকে এই বলিয়া আক্ষেপ করেন। সেই হুঃখে কল্পনা দেবীর উদরে, বঙ্কিমচন্দ্রের মস্তকের ঔরসে কতকগুলি মাধুরী এবং সৌন্দর্ঘ্যের উৎপত্তি ; পূর্ণচন্ত্রের উপর সেই গুলির লালন-পালনের ভার। কিন্তু আমি মাধুরীর অবতার, সৌন্দর্ঘ্যের রূপ। এই আত্মচরিত লিখিলে বঙ্কিমচত্রের মাথা বাঢ়িবে ; পূর্ণচত্রের নরক ঘাট ঘুচিবে, সাধও মিটবে। বিলাতের এক মেম বিজ্ঞানের ক্ষোভ নিবারণ উদ্দেশে ব্যবচ্ছেদ জন্ত নিজ মৃতদেহ উইল করিয়া যান; পূর্ণচন্দ্রের ক্ষোভ নিবারণ জন্য আমি এই আন্ধচরিত দান করিলাম। উইল করা অপেক্ষ দান করায় মাহাস্থ্য অধিক । , مييم তিন কারণের উল্লেখ করলাম ; আরও তেত্রিশ কোটি আছে; কিন্তু আমার বিচারে সেগুলির কথা তুলিবার দরকার নাই।