পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চানন্দের ত্বও, . মরিত।” এখন সে দুর্দশা নাই; ভারতবাসী রাজনীতি জানে, সমাজনীতি বোঝে, ধৰ্ম্মনীতির বিচার করে, অথচ রাজ্যের চিস্তা তাহাকে করিতে হয় না, ইংলণ্ড স্বয়ং ভারতের হইয়া সেটা করিয়া লন ; সমজের জন্ত তাহাকে ভাবিতে হয় না, ভগবান এক প্রকার চালাইয়া লন, আর ধৰ্ম্মের ভার লইতে হয় না, খোলা হাওয়ায়, খোলা প্রাণে দুইটা উচ্চ-বাচ্য করে উত্তম, না করে, নাই। এ সুখের কৰ্ত্ত— ইংলণ্ড । অশাস্ত অসভ্য ভারতবর্ষে পূৰ্ব্বে শাস্তি ছিল না, কেবল উপদ্রব ছিল ; সেই জন্ত বাণিজ্য ছিল না, সেই জন্য বাদসা'স্বয়ত তাজমহল গাঁথিতেন । আর বেগম রেজার কাজ করিতেন । এখন ছড়ি হাতে বেড়াইতে যাও, ঐঘর ন| দেখিয়া গৃহে ফিরিয়া আসিতে পাইবে না । বাণিজ্যের এমনই প্রখর স্রোত যে, তাতিকুল একেবারে ভাসিয়া গেল। শিল্পের এমনই উন্নতি যে, সুদৃশু হৰ্ম্ম্যে পাছে কেহ শঙ্কা ক্রমে প্রবেশ না করে, এই আশঙ্কায় হৰ্ম্ম্যগণ স্বীয় বক্ষ বিদীর্ণ করিয়া, বাহির হইতে অভ্যন্তর দেখাই থাকে। ইংলণ্ডে এরূপ উন্নতি হইয়াছে কি না জানি না, কিন্তু ভারতবর্ষের জন্য ইংলণ্ড ইহা করিয়াছেন। 體 অনন্ত কথা বলিতে গেলে অনন্ত কাল ও ফুরাইয়া যাইবে ; সুতরাং আর কত বলিব ? তথাপি দুঃখের বিষয় এই যে, ভারতবাসী রাজভক্তিহীন। স্বয়ং রাজপুরুষ ইংরেজ মহাপুরুষ একথা যখনতখন বলিয়া থাকেন, সুতরাং কথাটা মিথf হওয়া অসম্ভব । তোমরা ইংলণ্ডের আধিপত্যের চিরস্থায়িত্ব কামনা করিম। থাকে, সে বিষয়ে কাহারও সন্দেহ নাই; কিন্তু তাহ বলিয়া তোমাদের এই বিশ্বাসের পর নিশ্বাস কে মুহ করিতে পারে? ইংলণ্ডকে তোমরা ভালো বাঙ্গে, ভক্তি করে; তাহাতে সকল মহাপুরুষের ত কুলায় না।