পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o6 *ाँहूठांदूद्र আমি উত্তর দিলাম এক শ বার। তিনি বলিলেন—দয়ার সহিত বিচারকে মোলায়েম করিতে হইবে ; এক শ বার ফাসি দেওয়া বিচারসঙ্গত হইলেও আমি দয়া করিয়া ইহাকে একবারের বেশী ফাসী দিব না। তৎক্ষণাৎ কাবুলীর একবার মাত্র ফাঁসি হইয় গেল। আমি রবার্ট সাহেবের বীরোচিত এই দয়া দেখিয়া মোহিত হইয়া গিয়াছি। কিন্তু ইহার ভিতর দুইটি দুঃখের কথা উপস্থিত হইয়াছে ! প্রথম এই যে, কাবানিয়ারি সাহেবের দেহ যতই কেন প্রকাণ্ড ইউক ন, তাহার হত্যাকারী প্রমাণে যত লোকের ফাঁসি হইতেছে, তত লোকে তঁহাকে আঘাত করিতে হইলে, একটা আঘাতের উপর এক শ দেড় শ আঘাত করিতে হইয়াছিল ; নহিলে তাহার শরীরে কুলায় না। দ্বিতীয় কথা এই যে, কাবুলীরা এমনই অল্পপ্রাণ এবং কুৰ্ব্বল যে, তাহদের মধ্যে একজন ও রবার্ট সাহেবের দয়ার ফলভোগ করিতে পারিতেছে না,—যেমন কেন কাবুলী হউক না, একবার মাত্র ফাসি দিলেই তাহার প্রাণান্ত হইয়াছে। অামার বিবেচনায়, যে জাতির এইটুকু সহ করিবার ক্ষমতা নাই, ইংরেজের সঙ্গে তাহার যুদ্ধ করা সাজে না । বাঙ্গালীরা বুদ্ধিমান, এই জন্য এই ইংরাজরাজের এত उछुक । অধিকন্তু দুঃখ এই যে, ফঁাসির আগে যত কাবুলীকে আমি জিজ্ঞান করিয়াছি, তাহদের সকলেই আমাকে বলিল যে—হইদিন অগ্রপশ্চাৎ মরিতেই হইবে, সুতরাং মরিতে কোন দুঃখ নাই। কিন্তু এ ভাবে মরিতে একটু কষ্ট হয় অস্ত্র-হস্তে মরিতে পাইলে এ কষ্ট হয় না। আমার বিবেচনাতে এ কথা কতকটা সত্য ; কারণ ফাসিতে মরিতে হইলে দম বন্ধ হয়, তাহাতে অতিশয় কষ্ট হইবারই সম্ভাবনা। এই সকল ভাবিয়া চিন্তিয়া একজন কাবুলীকে আমি একদিন