পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अँीहूर्णांकूब्र । দরকার তাহার বেশী অত্যাচারও করা হয় না। আমার অক্ষর এবং এবারত -ই ভালো বলিয়া রবার্ট সাহেব আমাকে দিয়াই ঐ পত্ৰখানি লেখাইয়াছেন, সেই জন্ত এত সবিশেষ জানিতে পারিয়াছি। এই পত্রের মৰ্ম্মে অনেকে মনে করিতে পারে, অল্প হউক, অধিক হউক, আবগুক হউক, অনাবশ্বক হউক, রবার্ট সাহেবের কিছু অত্যাচার আছে। অথচ আমি ইতঃপূৰ্ব্বে যে সকল পত্র আপনাকে লিখিয়াছি তাহাতে সাহেবের দয়া, গুণ, ধৰ্ম্মজ্ঞান এবং সদাশয়তার উচিত মুখ্যাতি করিয়াই লিখিয়াছি । এখন ভাবন এই যে, যদি ভবিষ্যতে এই সব কথার আন্দোলন উপস্থিত হয় এবং সাহেবের কবুল জবাবের বিপরীত আমার পত্র লেখা হইয়াছে বলিয়, আমাকে মিথ্যাবাদী বলিয়া একটা দণ্ড বিধান করে, তবে সৰ্ব্বনাশ হইবে। শর নেক-দণ্ডবধানে তোপে উড়াইয়া দিবার ব্যবস্থা আছে, ত আপনার অবিদিত নাই। উড়িতে আমি অক্ষম, তাহ ডানাতেই কি আর তোপেই কি ? বাঙ্গালীর উড়িতে জানে না, তাহাও আপনি জানেন ; অনেক ভদ্রলোক ছাদ হইতে, বারাগু হইতে উড়িবার চেষ্টা করিয়া শেষে প্রাণটী উড়াইয়া দিয়াছে। সৰ্ব্বোপরি স্থানত্যাগের সঙ্কল্প করিবার কারণ এই হইয়াছে যে, আমীরের বাটী দখল করিবার সময়ে কুষিয়ার যে সকল পত্র পাওয়া যায়, ববিকল্পনাকুশল, দ্বিতীয় বিশ্বামিত্র, রাজনীতিবিশারদ পণ্ডিতগণ তাই হইতে এক ভয়ানক অর্থ আবিষ্কার করিয়াছেন। তাহাতে লেখা আছে যে, আমীরের সাহায্য লইয়া রুষিয়া পঞ্জাব পৰ্য্যস্ত দখল করিবে, এবং ইংরেজ-সেনাপতি, পঞ্জাবের অধিবাসী, ভারতবর্ষের রাজস্তবর্গ, প্রজাবৃন্দ, সকলেই তৎকালে কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় অভিভূত থাকিবে ; এবং উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে যে সকল দুর্গাদি আছে, সে রুষীয় মধুর বংশীধ্বনি শ্রবণমাত্রে ধরাশায়ী হইবে। t