পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাবুলস্থ সংবাদদাতার পত্র। (৩) জীচরণকমলেষু, দেশে ফিরিয়া যাইবার জন্ত পূৰ্ব্ব পত্রে অনুমতি চাহুিয়াছিলাম । কিন্তু আজ্ঞাপত্র বা তাড়িতবার্তা কিছুই না পাইয়া মন বড় উদ্বিগ্ন হইয়াছিল। কাবুলীরা যে রকম অধাৰ্ম্মিক এবং তুষ্টপ্রকৃতি, তাহাতে অম্লমান হয় যে, তাহারা ডাক মারিয়াছে এবং তার কাটিয়া দিয়াছে ; নহিলে আপনার মত, দয়াশীল লোকে কখনও খাড় নাড়া হাতের ভাত ব্যঞ্জন খাইবার সাধে বাধা দিবেন ইহা কিছুতেই সম্ভব নহে। ফলে স্পষ্ট কথা বলাই ভালে, আপনি নিষেধ করিলেও আর আমি কাবুলে থাকিতাম না। কেন থাকতাম না, তাহা বলিতেছি । প্রথমতঃ, কাবুলীদের মত মুর্থ লোক পৃথিবীতে আর নাই। মুখ লোকে নিজের ভাল বোঝে না, কাবুলীরাও বোঝে না ; সেই জষ্ঠ ইহাদের সঙ্গে বাস করিতে প্রবৃত্তি হয় না, দেখুন, বলি রাজা মূর্থেরই ভয়ে স্বর্গের বাসন ত্যাগ করিয়াছিলেন। ইংরেজ অতি সুসভ; সুপণ্ডিত এবং সদাচারী জাতি, বাঙ্গালায় আসিয়া, ভারতবর্ষে আসিয়া ইহঁরা যে যে উপকার করিয়াছেন—ইংরেজের উপকারের কথ বলিতেছি না, আমাদের উপকার যাহা করিয়াছেন—তাই প্রাণ থাকিতে কেহ ভুলিবে না। কাবুলীর উপকারের কথায় আমল দে না ; কেবল বলে যে, ভিন্ন জাতি ভিন্ন দেশ হইতে আসিয়া আমাদে উপকার করিলেও আমরা লইতে চাহি না, সাধ্যপক্ষে অপকৰ্ম করিতেও দিব না। দিবে ন—তবে মরো! যেমন দুৰ্ব্বদ্ধি, শাস্তিং হইতেছে। আর, ভিন্ন জাতি, ভিন্ন দেশী—এসব কথার মামেই ; আমি বুঝিতে পারি না। পরম কারুণিক পরমেশ্বর সকলই স্থা করিয়ছেন, সুতরাং মনুষ্যমাত্রেই এক জাতি ; ইহার আবার ভি