পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি ইস্পাতের সহিত তুলনা করিয়াছেন, এখানে ও সে উপমা খাটিতেছে—ঘর্ষণে ইস্পাতের চাকৃচিক্য বাড়িয়াছে, ধার বাড়িয়াছে, অতএব যিনিই যত করুন, হিন্দুর মনে হিষ্ণুর ধৰ্ম্মের যে এক অপূৰ্ব্ব দ্রঢ়িম আছে, তাহা কিছুতেই বিলুপ্ত হইবার নহে। যদি তাহা হইল, তিনি ( মান্তবর পঞ্চানন্দ ) এই ব্রাহ্মণ প্রাধান্তের একট। ফলের প্রতি, মাষ্টবর সভ্যগণের বিশেষ মনোযোগ আযন্ত্রণ করিতে যাচ এণ করেন। সে ফল এই যে, কর্তৃত্ব থাকিলেই কুঁড়েমির টানটা স্বভাবতই বেশী বেশী হইয় ওঠে । ডেমি হইলেই বিনাশ্রমে বাবুগরি করিবার প্রবৃত্তিটাও আপনা-আপনি আসিয়া উপস্থিত হয়। সেই প্রবৃত্ত্বির বলে ব্রাহ্মণদিগের এত ব্রহ্মোত্তর জমী। মান্তবর সভ্যগণ অবগত থাকিতে পারেন যে, ব্রহ্মোত্তর জমীর জন্ত কাহাকেও সিকি পয়স কর দিতে হয় না, এবং এই কুদৃষ্টাস্তের ফলে, যাহাদের ব্রহ্মেত্তের নাই, তাহারা ও কোনও না-কোন ও প্রকারে, নিষ্কর ভূমির মালিক হুইবার চেষ্টা করে, বা উপায় বিধান করে। তিনি (মাষ্ঠবর পঞ্চনন্দ ) যে কথার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করিতেছিলেন, তাহ এই ;–নিষ্করের দিকে ভারতবাসীর অতিশয় টন। জর-বিকারের রোগীয় জলটানের মত ইহা অস্বাভাবিক এবং দুষ্ট হইলে ও ইহার দমন করা হুঃসাধ্য। কিন্তু বিজ্ঞ চিকিৎসক এ প্রকার অবস্থায় কি উপায় অবলম্বন করিয়া থাকেন ? কেন, তিনি পিপাসা শান্তি হয়, সঙ্গে সঙ্গে রোগের প্রতীকারও হুয়, এইরূপ শীতল সেব্য শীতলগুণবিশিষ্ট ঔষধই প্রয়োগ করিয়া থাকেন। অতএব ভারতবাসী যখন কর দিতে কাতর, অথচ পক্ষান্তরে কর না পাইলে রাজত্ব করা ন-করা তুল্য, তখন করসংগ্রহ বিষয়ে উপরিউক্ত বিজ্ঞ চিকিৎসকের পস্থা অবলম্বন করাই যে শ্ৰেয়ংকল্প, ইন্ধ কোন