পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাখী-পোষা

(৪)

 পাখীর নীড়-রচনার কথা অলোচনা করিতে করিতে আমরা পরভৃৎ-রহস্যের অবতারণা করিতে বাধ্য হইয়াছিলাম; কিন্তু এখনও পাখীর বাসা সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য শেষ হয় নাই। পক্ষিপালক বাসার আধারের ব্যবস্থা করিয়া খড়কুটা প্রভৃতি উপাদান যোগাইয়া দিয়া, এমন কি সময়ে সময়ে নীড়-নির্ম্মাণে পক্ষিদম্পতির ভ্রমসংশোধন করিয়া কেমন করিয়া উহাদের ডিম্বরক্ষার সহায়তা করেন তাহার কিঞ্চিৎ আভাস আমরা পূর্ব্বে দিয়াছি। কিন্তু অনেকে হয়ত’নীড় পরিষ্কার রাখার জন্য পক্ষিপালকের
চেষ্টা পাখীর স্বভাবের বিরোধী কি না?
মনে করিতে পারেন যে নিসর্গ-ক্রোড়চ্যুত বিহঙ্গকে লইয়া আদরের আতিশয্যে মানুষ কিছু বাড়াবাড়ি করে। প্রত্যহ যত্নসহকারে সে যেমন করিয়া বাসাটি পরিপাটিরূপে গুছাইয়া পরিষ্কৃত রাখিতে চেষ্টা করে, বাস্তবিক স্বাধীন অবস্থায় বন্য বিহঙ্গ কি তার স্বরচিত নীড় তেমন করিয়া গুছাইয়া পরিষ্কৃত রাখিতে পারে? যাঁহারা বিশেষ ভাবে পাখীর কার্য্যকলাপ সযত্নে নিরীক্ষণ করিয়াছেন তাঁহারা অতি সহজে ইহার সদুত্তর দিতে পারিবেন। হয়ত’ সে উত্তর শুনিয়া সাধারণ লোকে বিস্মিত হইবে; এবং পাখীর বিচার-শক্তি আছে কি না সেই প্রশ্ন ঘুরিয়া ফিরিয়া আবার এক্ষেত্রে আসিয়া পড়িবে। পাখীর বাসা সুন্দর কি অসুন্দর, সেইটাই সবচেয়ে বড় কথা নয়; বৈজ্ঞানিক তত্ত্বজিজ্ঞাসু প্রধানতঃ লক্ষ্য করিবেন যে নীড় সুন্দর হউক বা না হউক, উহা যে উদ্দেশ্যে রচিত হইয়াছে সেই উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্য সেটা সম্পূর্ণ উপযোগী কি না। এই উপযোগিতা বা utilityর