পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম ভাগ
৮৯

আলোক-রশ্মি পক্ষিতত্ত্বের কোনও নূতন তথ্যের উপর নিপতিত হইতেছে তত দিন ঐ সমস্ত জল্পনা কল্পনা বাস্তব সত্যপ্রসূত বলিয়া মানিয়া লইতে আপত্তি করা চলে কি? পক্ষিজীবনে মেণ্ডেলীয়-সূত্র (Mendelism) কতটা পরিস্ফুট হইয়াছে, অর্থাৎ সেই সূত্র অবলম্বন করিয়া পাখীর পুরুষপরম্পরাগত বংশ-পরিচয় ঠিক দিতে পারা যায় কি না; আকৃতি প্রকৃতি ও বর্ণ বহু পূর্ব্বে সম্ভবতঃ কি ছিল ও ভবিষ্যতে কি হইবে তাহা নিশ্চিতরূপে বলা যায় কিনা এই সমস্ত বিষয় লইয়া কেহ কেহ স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন; আবার অনেকে নির্ব্বিবাদে এখনও সেই সকল সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে অনুমোদন করিতে পারিতেছেন না। কিন্তু সকলের সমবেত চেষ্টায় পক্ষিবিজ্ঞান ক্রমশঃই অধিকতর উন্নত হইতেছে। এই উন্নত পক্ষিবিজ্ঞানের (ornithology) সহিত আধুনিক পক্ষিপালন-প্রথার (aviculture) যে নিবিড় সম্পর্ক রহিয়াছে, একের উন্নতির সহিত অপরের উন্নতির যে নিগূঢ় সম্বন্ধ দাঁড়াইয়াছে তাহা বোধ হয় পাঠকবর্গ কতকটা উপলব্ধি করিতে পারিয়াছেন। বিশ্বপ্রকৃতির তূলিকার উপর মানুষের কারিকুরি, সাধারণ পাখীর নৈসর্গিক জীবনলীলাকে কৃত্রিম উপায়ে পরিবর্ত্তিত করা, অর্থাৎ পাখীর অসবর্ণ বিবাহে পৌরহিত্য করিয়া বর্ণসঙ্কর উৎপাদনের সফল চেষ্টা সাধারণ জীববিদ্যার (Biology) অঙ্গীভূত হইয়াছে।