পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় ভাগ
৯৫

obviously lie in the study of the food of birds, in relation to their harmfulness or otherwise to crops”[১]

 এখন কেন একটা দেশের পুনর্গঠনে পাখী এতটা আবশ্যক বলিয়া বিবেচিত হইতেছে, সে সম্বন্ধে যদি তোমার কৌতূহল জন্মিয়া থাকে, তবে অল্প কথায় সমস্ত বিষয়ের কতকটা বুঝাইতে চেষ্টা করিতে পারি।

 কথায় কথায় যে প্রসঙ্গে আমরা উপনীত হইলাম, তাহাকে পাশ্চাত্য বুধমণ্ডলী Economic Ornithology আখ্যা প্রদান করিয়াছেন। বিশ্বপ্রকৃতির বিধিব্যবস্থায় পাখী যে কত কাজে লাগে, তাহার খোঁজ আমরা সচরাচর রাখি না। আদিম মানব যে দিন মত বসুন্ধরাকে ধনধান্য-পুষ্পভরা করিতে চেষ্টা করিয়াছিল, যে দিন হইতে নবাবিষ্কৃত লৌহযন্ত্রের সাহায্যে বসুন্ধরার বুক চিরিয়া কৃষিকার্য্যে সাফল্য লাভ করিবার প্রয়াস পাইল, সেই দূর অতীতে তামসঘন দিনে পাখী তাহাকে অযাচিতভাবে কতটা সাহায্য করিয়া আসিয়াছে, মাঝে মাঝে এক একবার স্থিরচিত্তে তাহার হিসাব নিকাশ লইতে পারিলে, তোমার মত রাষ্ট্রনীতিজ্ঞেরও মনে একটা নূতন আনন্দ সঞ্চারিত হইতে পারে। পাখী যে শুধু আমাদের বিলাসের সামগ্রী নয়, তাহাকে যে শুধু স্বরচিত পিঞ্জরে আবদ্ধ করিয়া, নীলাভ মণিমণ্ডিত দণ্ডে বসাইয়া, তাহার রূপে ও সঙ্গীতে মুগ্ধ হইয়া মানুষ দিন কাটাইবে, মানবের দৈনন্দিন জীবনে আর তাহার কোন আবশ্যকতা নাই, সে যে অনেকগুলি অনাবশ্যক দ্রব্যের মধ্যে একটা অকেজো জিনিষ মাত্র, ইহা মনে করিলে তাহার প্রতি, অথবা যদি কোন বিশ্বনিয়ন্তা থাকেন, তাঁহার প্রতি মূঢ়ভাবে অত্যন্ত অবিচার করা হয়। কৃষিকর্ম্মে পাখীর উপযোগীতার কথা অবতারণা

  1. Ibid., pp. 239-240.