পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাখীর কথা

প্রথম ভাগ


খাঁচার পাখী

 পাখী-পোষার ঝোঁক মানুষের বহুকাল হইতেই আছে। জগতের প্রায় সকল স্থানে ইহার স্বল্পাধিক নিদর্শন লক্ষিত হয়। মানব-সমাজেরসূচনা সকল স্তরে ইহার প্রভাব বিদ্যমান; অবস্থা-নির্ব্বিশেষে সকল শ্রেণীর লোককে অল্পবিস্তর এই ঝোঁকের বশবর্ত্তী হইতে দেখা যায়।

 এই বিপুল বিশ্বের কোন-না-কোন ক্ষুদ্র জীবের প্রতি মানবহৃদয়ের কেমন একটা সূক্ষ্ম আকর্ষণ আছে যে মানুষ নানা কার্য্যে লিপ্তপশুপক্ষীর প্রতি মানবের মমতা থাকিলেও, সে এই আকর্ষণ হইতে আপনাকে মুক্ত করতে সমর্থ হয় না। এই আকর্ষণের বলেই, মানুষ, কুকুর, বিড়াল, পারাবত প্রভৃতি প্রাণীকে যত্ন ও প্রীতির সহিত গৃহে পালন করিতে উদ্যত হয়। মানবের শৈশবাবস্থা হইতে ইহার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। গ্রামের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায় যে, ছোট-ছোট বালকেরা ঝড়, জল ও রৌদ্রের প্রখরতা উপেক্ষা করিয়া গাছে-গাছে পাখীর নীড় অন্বেষণ করে, এবং শাবক দেখিতে পাইলে অহ্লাদে আটখানা হইয়া উহাকে সাবধানে গৃহে লইয়া যায়। অসহায় পক্ষি-শিশুকে বাঁচাইবার জন্য বালকদিগের চেষ্টা বড়ই আশ্চর্য্যজনক; এবং এরূপ অনেক সময়ে ঘটে যে, ভালবাসা ও যত্নের