রূপে ময়ূরের গলিতবর্হের ব্যবহারের উল্লেখ আছে বটে, কিন্তু মনুষ্যসমাজে অতি প্রাচীনকাল হইতে ইহার ব্যবহার বড় কম দেখা যায় না। ভারতবর্ষে ময়ূরপুচ্ছের আদর এখনও যথেষ্ট আছে; কিন্তু এই পুচ্ছ আহরণের নিমিত্ত জীবহিংসা না করিয়া কেবলমাত্র স্বয়ংস্খলিত বর্হের ব্যবহারই অনুমোদিত হয়। এখনও আর্য্যাবর্ত্তে ময়ূর পবিত্র জীব বলিয়া পরিগণিত। জ্যর্ডন (Jerdon) তাঁহার Birds of India নামক গ্রন্থে লিখিতেছেন[১]—
“It is venerated in many districts. Many Hindoo temples have large flocks of them; indeed, shooting it is forbidden in some Hindoo States.”
কচ্, রাজপুতনা প্রভৃতি ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল প্রদেশসমূহে বন্য ময়ূর অধিক সংখ্যায় দেখা যায় বটে; কিন্তু গৃহপালিত ভবনশিখীর সংখ্যাও বড় কম নয়। এমন কি, যেখানে স্বাধীন বন্য অবস্থায় ইহাদিগকে দেখিতে পাওয়া সম্ভবপর নহে, সেখানেও গৃহস্থেরা তাহাদিগকে পোষ মানাইয়া রাখে; কখনও কখনও বা তাহারা কোন বিশিষ্ট গৃহস্থ কর্ত্তৃক পালিত না হইয়া দলে দলে নগর মধ্যে স্বচ্ছন্দ জীবন যাপন করিতে পায়। এই গৃহপালিত ময়ূরগণ প্রায়ই মেঘদূতের নেত্রপথবর্ত্তী হইতেছে। অলকায় অশোকবকুল-তলে ভবনশিখীর জন্য বাসযষ্টি রচিত রহিয়াছে—
তন্মধ্যে চ স্ফটিকফলকা কাঞ্চনী বাসযষ্টি-
র্মূলে বদ্ধা মণিভিরনতিপ্রৌঢ়বংশ-প্রকাশৈঃ॥
অশোক ও বকুল বৃক্ষের মধ্যে এক সুবর্ণনির্ম্মিত বাসযষ্টি আছে, যাহার তলদেশ তরুণ বংশের ন্যায় প্রভাবিশিষ্ট মণিদ্বারা বদ্ধ এবং যাহার উপরিভাগে একটি স্ফটিক-ফলক স্থাপিত আছে।
- ↑ Vol. III., p 507.
the other feathers about September in Northern India, and the new train is not fully grown up till March or April.”—Blanford.