পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৪
পাখীর কথা

লোহিতচঞ্চুচরণ শ্বেতাবয়ব হংসের গীত স্বতঃই করিকল্পনায় জাগিয়া উঠিতে পারে।

 যে হংসকে প্রচণ্ড রবিকরোদ্দীপ্ত নিদাঘকালে আমরা ক্বচিৎ দেখিতে পাই; ঋতুসংহারে গ্রীষ্মবর্ণনায় যাহার প্রতি কেবল একটু ইঙ্গিত করিয়া কামিনীর কমনীয় চরণকমলের মঞ্জীরধ্বনির আভাসের মধ্য দিয়া কবি যাহাকে বিদায় দিয়াছেন; যাহাকে মুখ্যভাবে আমাদের সম্মুখে উপস্থাপিত করেন নাই; বর্ষাঋতুবর্ণনার মধ্যে যাহার দর্শনলাভ আমাদের ঘটিয়া উঠিল না; হঠাৎ শরৎবর্ণনার মধ্যেশরদ্বর্ণন সেই আমাদের পূর্ব্বপরিচিত কতিপয়দিনস্থায়ী যাযাবর হংসটি কোথা হইতে উড়িয়া আসিয়া শরৎলক্ষ্মীর নূপুরধ্বনিকে জাগাইয়া তুলিতেছে! মৌনা প্রকৃতি আজ হংসকাকলীতে মুখরিতাা।

কাশাংশুকা বিকচপদ্মমনোজ্ঞবক্ত্রা
সোন্মাদহংসরবনূপুরনাদরম্যা।
আপক্বশালিরুচিরা তনুগাত্রযষ্টিঃ
প্রাপ্তা শরন্নববধূরিব রূপরম্যা॥

 কাশপুষ্প যাহার অংশুক, বিকচ কমল যাহার বদন, উন্মত্ত হংসকাকলী যাহার নূপুরশিঞ্জিত, ঈষৎপক্ব শালিধান্য যাহার দেহযষ্টি, সেই শরৎকাল রমণীয় নববধূবেশে আসিয়া উপস্থিত।

কাশৈর্মহী শিশিরদীধিতিনা রজন্যো
হংসৈর্জলানি সরিতাং কুমুদৈঃ সরাংসি।
সপ্তচ্ছদৈঃ কুসুমভারনতৈর্বনান্তাঃ
শুক্লীকৃতান্যুপবনানি চ মালতীভিঃ॥

 মহী কাশকুসুমে শুভ্র বর্ণ ধারণ করিয়াছে, রজনী চন্দ্রকরদীপ্তিতে শুক্লা, শ্বেত হংস নদীর জলকে সাদা করিয়াছে; সরোবর কুমুদপুষ্প-