পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
পাখীর কথা

না? ময়ূর কি মানুষের কাছে এত পোষ মানে যে, সে মানবশিশুর সহিত অবিচ্ছিন্ন সখ্যতা-সূত্রে আবদ্ধ হইয়া যায়? মাংসাশী গৃধ্রের কোনও নির্দ্দিষ্ট “নিবাস-বৃক্ষ” থাকে কি?

 এই সমস্ত প্রশ্নের সদুত্তর দিতে চেষ্টা করিবার পূর্ব্বে আমরা মহাকবিরচিত মালবিকাগ্নিমিত্রে ও অভিজ্ঞানশকুন্তল নাটকে, উল্লিখিত পাখীগুলির নূতন কিছু বর্ণনা পাওয়া যায় কি না, তাহা একটু অনুসন্ধান করিয়া দেখিব। পরে সবগুলি মিলাইয়া, বিহঙ্গ-তত্ত্বের দিক্‌ হইতে পাশ্চাত্য রীতি অনুসারে তাহাদের জীবন-রহস্য উদ্ঘাটিত করিতে প্রয়াস পাইলে দেখা যাইবে যে, কবিবরের তুলিকায় পাখীগুলির যে চিত্র ফুটিয়া উঠিয়াছে, তাহা সুন্দর ত’ বটেই, পরন্তু তাহা অনেকাংশে সত্য।