চূতানাং চিরনির্গতাপি কলিকা বধ্নাতি ন স্বং রজঃ
সন্নদ্ধং যদপি স্থিতং কুরুবকং তৎ কোরকাবস্থয়া।
কণ্ঠেষু স্খলিতং গতেঽপি শিশিরে পুংস্কোকিলানাং রুতং
শঙ্কে সংহরতি স্মরোঽপি চকিতস্তূণার্দ্ধকৃষ্টং শরম্॥
—চূতকুলিকা বহুদিন নির্গত হইয়াছে, কিন্তু পরাগ জন্মে নাই; কুরুবক-পুষ্প বৃন্ত হইতে বহির্গত হইয়াও কোরকাবস্থাতেই আছে; শিশির ঋতু চলিয়া গেলেও পুংস্কোকিলের কণ্ঠস্বর কণ্ঠমধ্যেই বিলীন হইয়া রহিয়াছে * * * *”।
অঙ্গুরীয়ক দর্শনে রাজা দুষ্মন্তের পূর্ব্বস্মৃতি জাগিয়া উঠিল। তিনি শকুন্তলার প্রতি আপনার অন্যায় ব্যবহারের জন্য অনুতাপ করিতে লাগিলেন। দিন দিন তিনি এত উন্মনা হইতেছেন দেখিয়া, তাঁহার চিত্তবিনোদনের জন্য বয়স্য নানা উপায় অবলম্বন করিতে লাগিল।
রাজার স্বহস্ত-লিখিত শকুন্তলার প্রতিকৃতির বিষয় তাঁহাকে স্মরণ করাইয়া দিয়া বয়স্য রাজাকে মাধবীমণ্ডপে যাইবার নিমিত্ত অনুরোধ করিয়া বলিলেন যে, এখনই চতুরিকা তথায় প্রতিকৃতিটি লইয়া আসিবে। এমন সময়ে চিত্রপট হস্তে চতুরিকা রাজসমীপে উপস্থিত হইলে, তিনি ব্যগ্রভাবে চেটীর হস্ত হইতে ছবিখানি লইয়া, বয়স্যকে ছবির ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা বুঝাইয়া দিতে লাগিলেন—সৈকতলীন-হংসমিথুনা স্রোতোবহা মালিনী নদী এইখানে অঙ্কিত হওয়া উচিত * * *। রাণী বসুমতী আসিতেছেন, ইহা চতুরিকার মুখে শুনিয়া বিদূষক বলিল—আমি মেঘপ্রতিচ্ছন্দ প্রাসাদের এমন জায়গায় এই চিত্রপট লুকাইয়া রাখিব, যেখানে পারাবত ব্যতীত[১] আর কেহই জানিতে পারিবে না। কিন্তু বেচারা মাধব্য কার্য্যকালে বিপন্ন হইয়া পড়িল। কোনও
- ↑ এই পাঠ বোম্বাই-সংস্করণে আদৌ দৃষ্ট হয় না। মহামহোপাধ্যায় কৃষ্ণনাথ ন্যায়পঞ্চানন-সঙ্কলিত নাটকে দেখা যায়।