পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
পাখীর কথা

ঝিল্লীঝঙ্কারবাচালে কালে প্রাবৃষি চাগতে।
তথৈবোপচরেত্তাংস্তু যথা পুষ্টাঃ স্বপক্ষকান্
ত্যক্ত্বা নবান্ প্রপদ্যেরন্ সর্পাস্ত্বমিব দ্রুতম্।
৫ম পরিচ্ছেদ, ৩৪, ৩৫ শ্লোক।

 ভারতীয় মুসলমান নৃপতিগণও পক্ষিপালন-বিষয়ে বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন। ‘অ’ইন-ই-অক্‌বরি’ (Ain-i-Akbari) গ্রন্থ হইতে জানিতে পারা যায় যে, খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নানা প্রকার পক্ষী পালিত হইত। সম্রাট্ অক্‌বরের পক্ষিশালা তৎকালে প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিল। তিনি পার্সিয়া, তুর্কিস্থান ও কাশ্মীর প্রভৃতি সুদূর প্রদেশ হইতে বহুবিধ পক্ষী সঞ্চয় করিয়া পক্ষিশালার শোভা বৃদ্ধি করিতেন[১]। বিংশতি সহস্রাধিক পারাবত[২] তাঁহার পক্ষিশালায় বিরাজ করিত। এই নিমিত্ত বিভিন্ন শ্রেণীর পারাবতগণের বাসোপযোগী স্বতন্ত্র গৃহাদি[২] নির্ম্মিত হইয়াছিল। পালিত শ্যেনপক্ষীগুলির স্বাস্থ্য যাহাতে ভাল থাকে, তদ্বিষয়ে সম্রাট্ সচেষ্ট ছিলেন, এবং এই নিমিত্ত উহাদের খাদ্যাদির নূতন ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। ‘অ’ইন-ই-অক্‌বরি’ গ্রন্থে লিখিত আছে—‘কাশ্মীর প্রদেশে এবং সৌখীন ভারতবাসীর পক্ষিশালায় শ্যেনপক্ষিসমূহ সাধারণতঃ প্রতিদিবস একবারমাত্র আহার পাইত; কিন্তু রাজপ্রাসাদস্থ পক্ষীগুলির দুইবার আহারের ব্যবস্থা ছিল[৩]

  1. Ain-i-Akbari by Blochmann and Jarrett, Vol. 1, p. 298; Vol. III, p. 121.
  2. ২.০ ২.১ Ibid, Vol. I, pp. 300, 301.
  3. Ibid, Vol. I, p. 294.