যায়; হয় পরক্ষণেই জলে ঝাঁপাইয়া মাছ ধরে, নতুবা মৎস্য সরিয়া গেলে, অন্যত্র উড়িয়া বসে।
সংস্কৃতসাহিত্যে কুররের যাহা কিছু বিবরণ পাওয়া যায় তাহার আলোচনায় প্রবৃত্ত হইবার পূর্ব্বে, আমরা আর একটি জাতির উল্লেখ করিব—মৎস্যাশী ঈগল (Fishing Eagle)। ইহাদের স্বভাব osprey পাখীর ন্যায়; মৎস্য ইহাদের প্রধান আহার। জলাভূমি এবং নদীসান্নিধ্য ইহাদিগের বিহারভূমি। ইহাদের কণ্ঠস্বর উচ্চ এবং কর্কশ।
ভারতবর্ষে দুই শ্রেণীর মাংসাশী ঈগল দেখা যায়; Haliætus এবং polioætus ইহাদের বৈজ্ঞানিক আখ্যা। উভয়েই শ্যেন জাতির অন্তর্ভুক্ত; তবে polioætus শ্রেণীর পাখীগুলার পদাঙ্গুলির গঠন কতকটা ospreyর মতন এবং পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকেরাও ইহাদিগকে Osprey পাখীর সহিত একত্র করিয়া নির্দ্দেশ করিয়াছেন। Osprey, haliætus এবং polioætus—ইহারা সকলেই হিংস্র পাখী; ছোঁ মারিয়া শিকার ধরে। Osprey যখন আয়াস স্বীকার করিয়া অব্যর্থ সন্ধানে নখরসাহায্যে মাছ ধরিয়া আনে, মৎস্যাশী ঈগলকে তখন প্রায়ই চোরের উপর বাটপাড়ী করিতে দেখা যায়[১]। জলাশয় হইতে মাছ গাঁথিয়া যখন osprey আকাশে উঠিতে থাকে, ঈগল তখন কোথা হইতে তাহার উপর আসিয়া পড়ে; নিরুপায় দেখিয়া চীৎকার শব্দে osprey মৎস্য ফেলিয়া দেয়, জলে মাছ পতিত হইতে না হইতে, ঈগল তাহা দ্রুতপক্ষক্ষেপে ধরিয়া লয়। Osprey পাখীর এইরূপ করুণ আর্ত্তধ্বনি বিদেশী বৈজ্ঞানিকেরও[২] কর্ণ এড়ায় নাই। সাধারণের নিকটে এই osprey অনেক সময় fishing eagle, fish-hawk ইত্যাদি নামে পরিচিত।