পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রঘুবংশ ও কুমারসম্ভব


 মহাকবি কালিদাসের রচিত কাব্যসাহিত্য অবলম্বন করিয়া আমাদের দেশের পাখীগুলির বৈজ্ঞানিক আলোচনা করিতে যখন প্রবৃত্ত হইয়াছি, তখন রঘুবংশ কুমারসম্ভব বাদ দিলে চলিবে না। যে সকল পাখীর পরিচয় আমরা পূর্ব্বে পাইয়াছি, এখানেও তাহাদের সহিত নূতন পরিচয়-লাভে আনন্দ পাওয়া যাইবে। সেই সারস-কলহংস-শিখী, সেই কপোত-পারাবত-শুক, সেই চক্রবাক-রাজহংস-পরভৃত, সেই গৃধ্র শ্যেন কুররী পুনরায় আমাদের নয়নগোচর হয়। আমরা মনে করি না যে, তাহাদের পুনরুল্লেখ নিষ্প্রয়োজন। যাঁহার তুলিকায় ছবির পর ছবি পত্রে পত্রে ফুটিয়া উঠিয়াছে, তিনি যখন বারম্বার বিহঙ্গ-পরিচয় নিষ্প্রয়োজন মনে করেন নাই, নূতন নূতন পরিবেষ্টনীর মধ্যে অভিনর সৌন্দর্য্যে মণ্ডিত করিয়া সেই পাখীগুলিকে আমাদের সমক্ষে ধরিয়াছেন, তখন তাঁহারই পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া সেই সমস্ত চিত্রের পরিচয় দিতে হইলে, আমাদেৱও বারম্বার নূতন পারিপার্শ্বিক অবস্থার সহিত মিলাইয়া পাখীগুলিকে লইয়া নাড়াচাড়া করিতে হইবে। হয়’ত এইরূপ নাড়াচাড়া করিবার ফলে কিছু কিছু নূতন তথ্যে উপনীত হইতে পারা যাইবে।

 যে সারসগণ শ্রেণীবদ্ধ হইয়া আকাশমার্গে “অস্তম্ভাং তোরণস্রজম্” সৃষ্টি করিতেছে, রঘুবংশের মধ্যেই অন্যত্র তাহাদিগকে পম্পাসরোবরে এবং গোদাবরীবক্ষে দেখিতে পাই। এই জলচর ও খেচর বিহঙ্গের পরিচয় পাঠক পাইয়াছেন বটে, কিন্তু এমন করিয়া শূন্যে মালাগাঁথার ছবি আর কোথাও দেখিয়াছেন কি? কলহংসের