শস্যাশী পাখীকে মরিচবনে পর্ব্বতের উপত্যকায় দেখিতে পাওয়া আশ্চর্য্যের বিষয় নহে।
আর একটি নূতন পাখী পাওয়া যাইতেছে,—কঙ্ক। অমরকোষে আছে—“লোহপৃষ্ঠস্তু কঙ্কঃ স্যাৎ”। আচার্য্য ডল্লন মিশ্র এইরূপ নির্দ্দেশ করিতেছেন—“কঙ্কঃ স্যাৎ কঙ্কমল্লাখ্যো বাণপত্রার্হপক্ষকঃ।কঙ্ক লৌহপৃষ্ঠো দীর্ঘপাদঃ পক্ষাধঃ পাণ্ডুবর্ণভাক্” ইতি। আগাগোড়া বর্ণনা মিলাইয়া দেখা যায় যে, এই পাখী Heron বা Ardea পর্য্যায়ভুক্ত পক্ষিবিশেষ। ইহার পৃষ্ঠদেশ কতকটা লাল্চে—“back, wings and tail reddish ash” (Jerdon); ঘাড়ের কাছটা “ferruginous red” (Blanſord)। পাখীটার বৈজ্ঞানিক নাম Ardea manillenis।
এই কঙ্ক সম্বন্ধে পণ্ডিতসমাজে মতদ্বৈধ দেখা যায়। যে যে কারণে আমরা ইহাকে Ardea পরিবারভুক্ত করিয়াছি, তাহা সংক্ষেপতঃ উপরে লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে। যাঁহারা ইহাকে Vulturidæর মধ্যে গণ্য করেন, তাঁহারা এমন কোনও কারণ নির্দ্দেশ করেন নাই বা যুক্তি প্রদর্শন করেন নাই, যাহাতে তাঁহাদের ব্যাখ্যা সম্বন্ধে নিঃসংশয় হওয়া যাইতে পারে। পাশ্চাত্য পণ্ডিত Gustav Qppert যাদবের “বৈজয়ন্তী” সম্পাদন করিয়াছেন। যাদব বলিতেছেন,—
কঙ্কস্তু কর্কটস্কন্ধঃ পর্কটঃ কমলচ্ছদঃ
দীর্ঘপাদঃ প্রিয়াপত্যো লোহপৃষ্ঠশ্চ মল্লকঃ।
এখানেও লক্ষ্য করা যাইতেছে যে, কঙ্কের বিশিষ্টতা এই যে, সে দীর্ঘপাদ এবং লোহপৃষ্ঠ। অতএব এসম্বন্ধে অন্য অভিধানকারের সহিত যাদবের মতভেদ নাই। কিন্তু ইনি কঙ্কের যে কয়েকটি প্রতিশব্দ দিয়াছেন, তাহার প্রত্যেকটির ব্যাখ্যা স্বতন্ত্রভাবে Oppert করিতেছেন—“kind of vulture” অর্থাৎ গৃধ্র-পর্য্যায়ভুক্ত। আপত্তি এই যে