পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sv) दक्रिभ-bफ्रीशै লেও কমলি ছাড়ে নাই। [ যাক, সে সব কথা খুলিয়া বলিয়া নূতন ব্ৰতীদিগকে নিরুৎসাহ করিতে চাহি না । ] আপনি যদি এসম্বন্ধে একটু সৎপরামর্শ দেন, তাহা হইলে চিরঋণী হইয়া থাকিব ।” এই কথা বলিবামাত্র বঙ্কিমবাবুর সেই সুন্দর গৌরবর্ণ মুখখানা লাল হইয়া উঠিল। বুঝিলাম, তাহার প্রতিভার স্কুরণ Ofte inspiration হইতেছে । [ সঙ্গের বন্ধু কিন্তু পরে আমাকে বুঝাইয়াছিলেন যে উহ ক্রোধের লক্ষণ। তাই না কি ? ] কিন্তু মুহূৰ্ত্ত-মধ্যেই সে ভাব অন্তহিত হইল। তিনি পূর্বের ন্যায় একটু হাসিয়া বলিলেন, “এ সম্বন্ধে ত কখন কিছু ভাবি নাই, আপনাকে ঝন্টু করিয়া উত্তর দিতে পারিলাম না। দেখিতেছি, ইহা একটা ভাববার কথা।” সমস্তাসম্বন্ধে বঙ্কিমবাবুর অমূল্য উপদেশ পাইলাম না বটে, কিন্তু, সাহিত্যচর্চা সম্বন্ধে এমন প্রশ্ন আমার তুলিবার শক্তি আছে, যাহা সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমবাবুরও চিন্তার অতীত, ইহা দেখিয়া আমার বেশ একটু আত্মপ্রসাদ হইল। বুঝিলাম, আমিও সাহিত্যক্ষেত্রে বড় কেওকেটা নাহি । গীতায় প্রক্ষিপ্তবাদ । কথায়-কথায় ‘গীতা’র কথা উঠিল। বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “আমি যতই ভাল করিয়া দেখিতেছি, ততই বুঝিতেছি যে “গীতা’ প্ৰক্ষিপ্ত শ্লোকে বোঝাই। শুধু ধৃতরাষ্ট্র ও সঞ্জয় কেন, অৰ্জ্জুনও প্রক্ষিপ্ত। একটু সমজাইলে আপনারাও ইহা ধরিতে পরিবেন। দেখুন, উভয়ের কথোপকথনচ্ছলে উপদেশদান, এই নাটকীয় কৌশল মহাভারতের সময়ে পরিজ্ঞাত ছিল না । সুতরাং ‘গীতা’ প্ৰথমে তত্ত্বোপদেশের আকারে লিখিত হয়। পরে যখন ভাস-সৌমিল্প-কবিপুত্র-কালিদাস-ভবভূতি-হনুমান প্রভৃতি কবিগণ নাটক লেখা সুরু করিলেন, তখন তদৃষ্টে কোন