পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NG दक्षिभ-56ी কাসুন্দি ঘাঁটিতেছি, কেন না বাঙ্গালী এখন এ সকল প্রসঙ্গের আদর করিতে শিখিয়াছে, সম্পাদক ও পাঠক-সম্প্রদায় এ সকল তথ্য-সংগ্রহের জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছেন। এই শুভক্ষণে বঙ্কিমবাবুর সহিত যে পরিচয় হইল, সেই সূত্র ধরিয়া তাহাকে নিয়মিতরূপে ‘মুগুর” পাঠাইতাম ও সাহিত্যের নানা কথার অবতারণা করিয়া লম্বা- লম্বা চিঠিও লিখিতাম। তিনি যদিও কখন পত্রের উত্তর দিতেন না, কিন্তু পত্রগুলি অপঠিত থাকিত না, কেন না সেগুলি কখন ডেড়লেটার আফিস হইতে ফেরত আসে নাই। র্তাহার পুস্তক বাহির হইলেই কিনিয়া পড়িতাম ও তৎসম্বন্ধে আমা মতামত সবিস্তারে লিখিয়া পাঠাইতাম । তিনি কোন প্ৰতিবাদ করিতেন না ; ইহাতেই বুঝিতাম, তিনি সেগুলি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন ; কথায় বলে, মৌনং সন্মতিলক্ষণম। এইভাবে তঁহার সহিত এই নগণ্য লেখকের খুবই ঘনিষ্ঠত হইয়াছিল। আজ এ সব কথা ‘স্বপনের মত মনে হয়।” [ একতরফা বলিয়া যদি কেহ ইহাকে ঘনিষ্ঠতা বলিতে আপত্তি করেন, তাহা হইলে না হয়। ইহাকে ‘ঘনতা” বলুন-ইংরেজীতেও act to be thick with মূলের সন্ধান । বঙ্কিমবাবুর রচিত আখ্যানগুলির ও র্তাহার সৃষ্ট চরিত্রগুলির মূল কোথায়, এই প্রশ্নের আলোচনা সম্প্রতি র্তাহার আত্মীয়গণ আরম্ভ করিয়াছেন। আমিও এ সম্বন্ধে কিছু-কিছু অনুসন্ধান করিয়াছি। আমার আবিষ্কৃত তথ্যগুলি বোধ হয় তাহার আত্মীয়গণেরও অজ্ঞাত। কয়েকটির নমুনা দিতেছি। উৎসাহ পাইলে আরও দিতে পারি। - -