পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ବଳ दक्षिम-5óझै না হলপ করিয়া বলিতে পারি না। তবে কুন্দনন্দিনী-কপালকুণ্ডলা প্রভৃতির স্বপ্ন-বিচারক ললিত বাবুর জ্বালায় তা স্বপ্নে অবিশ্বাস করিবার যো নাই! আমরা ত বুঝি, বুড়ীকে কালভৈরব কাশীতে তিষ্ঠিতে দিল না। ] বঙ্কিমবাবু তাহার কাকুতি-মিনতিতে দয়াপরবশ হইয়া তাহাকে সঙ্গে আনেন। প্ৰবীণা কলিকাতায় আসিয়া একবার বিদ্যাসাগর মহাশয়কে দেখিবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করে। এই প্ৰবীণাকে আদর্শ করিয়া বঙ্কিমবাবু ‘ইন্দিরা’য় সোণার মা ও ‘আনন্দমঠে’ গৌরী ঠাকুরাণীর কল্পনা করিয়াছেন। বেচারা বিদ্যাসাগর মহাশয়কে দেখিতে চাহিয়াছিল বলিয়া, তিনি এই উভয় বিধবারই বিবাহের সাধি লইয়া রঙ্গ করিয়াছেন। উক্ত প্ৰবীণার হাতের রান্না খাইয়া বঙ্কিম বাবুর পরিবারস্থ সকলেই হাড়ে-নাড়ে জলিয়া গিয়া তাহাকে মাথা মুড়াইয়া ঘোল ঢালিয়া গঙ্গাপার করিয়া দিতে অর্থাৎ হাওড়া ষ্টেশনে রাখিয়া আসিতে ইচ্ছা করে। বঙ্কিমবাৰু এই প্রস্তাব শুনিয়া একটু বঙ্কিম হাসি হাসিয়া বলিয়াছিলেন, “কিছু করিতে হইবে না, আমি আমার পুস্তকে উহার এমন বর্ণনা করিব যে উহার রান্না জগদবিখ্যাত হইবে। ইহার অধিক শান্তি আর ব্ৰাহ্মণকন্যাকে কি দেওয়া যায় ?” [ দেখুন বঙ্কিমবাবুর কতদূর निर्छ। छिल ! ]