পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o ○ বিচিত্র বর্ণবোধ না, সুতরাং সম্পাদক মহাশয়ের আড়ালে আশ্রয় লইলাম। কেন না, ‘সেবিতব্যে মহাবৃক্ষঃ ফলচ্ছায়াসমন্বিত: । যদি দৈবাৎ ফলং নাস্তি ছায়া কেন নিবাৰ্য্যতে ॥” আর দুনিয়ার গতিই এই ; লড়ে পাইক, নাম হয়। সর্দারের। অনেক পাঠ্য ও অপাঠ্য পুস্তকের প্রণয়ন-রহস্য ( প্ৰণয়-রহস্য নহে ) নাকি এই প্ৰকারই । আরও কথা আছে। আমার সহায়-সম্পদ নাই, সহিসুপারিশ নাই, পেটের চিন্তায় সৰ্ব্বদা ঘূরিয়া বেড়াই, এমন সময় নাই যে পাঠ্যপুস্তকনিৰ্ব্বাচক-সমিতির সভ্যগণের দ্বারে ধন্বা দিই। তবে এই ভরসা,- , হোমরা-চোমরা বি-এ, এম-এ-দের বই চলে না, আমাদের মত মৎফরাক্কা না-পড়ে’-পণ্ডিতের বই-ই চলে। যাহা হউক, আমি প্ৰণালীটি সম্পাদক মহাশয়ের গোচর করিলাম। র্তাহার গুরুদাস বাবুর সহিত খাতির আছে ; তিনি উক্ত প্ৰকাশক মহাশয়ের ঘর হইতে এই প্ৰণালীতে পুস্তক লিখিয়া বা লিখাইয়া চালাইবার চেষ্টা করুন। যদি কৃতকাৰ্য্য হন, ধৰ্ম্ম ভাবিয়া আমাকে কিছু দস্তুরি ধরিয়া দিবেন। বহু দরিদ্র সাহিত্যসেবী গুরুদাস বাবুর নিকট হইতে সাহায্য পাইয়াছেন। আমিই কি বঞ্চিত হইব ? বনিয়াদ পাকা না হইলে ভাল ইমারত গড়া যায় না। সেইরূপ প্রথম-শিক্ষা প্ৰকৃত বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীতে না হইলে উচ্চশিক্ষা পণ্ডশ্রমে পরিণত হয়। আমাদের বাল্যকালে “কএ করাত খএ খরগোস’ ইত্যাদি সঙ্কেত দ্বারা অক্ষরশিক্ষা দেওয়া হইত। আজকাল তাহাই ঝালাইয়া “কাকাতুয়ার মাথায় বুট, খেকশিয়ালি পালায় ছুটি চলিতেছে। কিন্তু এ সব অকেযো ছাড়া মুখস্থ করিয়া শিশুদের মগজ খারাপ হয়, স্মৃতিশক্তির বাজেখরচ হয়, মনের প্রকৃত উন্নতি বাধা পায়, অক্ষরের সঙ্গে-সঙ্গে কতকগুলা জানোয়ারের নাম যুড়িয়া দিয়া শব্দব্ৰহ্মের অবমাননা করা