পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা কোরা o Ve হঁহাদিগের হাবভাব, কণ্ঠস্বর, উচ্চারণ-প্ৰণালী হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে, তজন্য তাহাদিগকে ঘন-ঘন থিয়েটার দেখাইতে হইবে। এইরূপে তাহারা স্বাভাবিক উপায়ে বিশুদ্ধ বাঙ্গালী উচ্চারণ ( খাস কলিকাতার উচ্চারণই বিশুদ্ধ) শিখিতে পরিবে, রেঢ়ো বা বাঙ্গালে টান আর থাকিবে না। তাহারা ঠিক শিখিল কি না, হাতে-কলমে তাহার পরখ করিবার জন্য, তাহাদিগের দ্বারা স্কুলে-স্কুলে সখের নাট্য-সম্প্রদায় গঠন করিতে হইবে। কলিকাতার কলেজে-কলেজে এইরূপ ব্যবস্থা আছে বটে। DD DBBSBKD DBDBBD S BBB DLDBSDBu DDDDDBD BDBBD সুফল হয় না । শৈশব হইতে তালিম করা দরকার। কথায় বলে, “কঁচায় না। নুইলো বঁাশ, পাকলে করবে ট্যান্স ট্যাস।” ফল কথা, থিয়েটার দেখিলে শিশুদিগের গীত, বাদ্য, লাস্য, বক্তৃতা এই চারি বিষয়ে সমষ্টিভাবে অভিজ্ঞতা জন্মিবে ; পরন্তু, কিঞ্চিৎ সৌন্দৰ্য্য-বোধও হইবে। অতএব, ইহার প্রভূত উপকারিতা স্বীকার করিতেই হইবে। প্রথমেই থিয়েটারের কথা তুলিয়াছি বলিয়া অনেকে আমার উপর খড়গহস্ত হইবেন । কিন্তু এই সঙ্কীর্ণতা, এই কুসংস্কার যাহাতে ভবিষ্যদবংশীয়দিগের মনে প্ৰবেশ না করে, সেইজন্যই আমি গোড়া বাধিয়া কাব্য করিতে চাহিতেছি। দেখুন, প্রাচীন কালে শুধু কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভারতবর্ষে কেন, গ্রীস রোম প্ৰভৃতি পাশ্চাত্য দেশে, এমন কি খ্ৰীষ্টান ইংলণ্ডে পৰ্যন্ত, রঙ্গালয় ও অভিনয় লোকশিক্ষার প্রধান উপায় ছিল, ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের অপরিহাৰ্য্য অঙ্গ ছিল। এখনও দেখুন, পল্লীগ্রামের লোক কোন সুযোগে কলিকাতায় আসিতে পারিলে, প্ৰথমে যায় কালীঘাটে মা-কে দর্শন করিতে, আর তাহার পর যায় থিয়েটারে (জানি না কাহাকে দর্শন করিতে) । আসল জাতীয় প্রকৃতি, প্রকৃত অকৃত্রিমতা, পল্লীগ্রামের সরলস্বভাব লোকের ভিতরেই দেখা যায় ; অতএব পল্লীগ্রামের লোকের