পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা ঝোরা S oክ” লয়ের প্রথম প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ ৬/আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ও এই বিরাট বপুর পেষণে চাপা পড়িয়া গিয়াছেন। ৮সরস্বতীপূজার দিনে এই মূৰ্ত্তিমান সরস্বতীর (একটু ব্যাকরণ-বিভীষিকা হইল! ) কথা কীৰ্ত্তন করা একান্ত কৰ্ত্তব্য নহে কি ? বাস্তবিক, স্তর আশুতোষের কথা ‘বঙ্গে যথাতথা লক্ষ মুদ্র সমকক্ষ ।” তঁহাকে চেনে না জানে না, দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার মধ্যে এমন কে আছেন ? মিলটনের মহাকাব্যের of-fRCCR5 Dyf3 f5fGS JHMCsí qfềTS og —Not to know me argues yourselves unknown. এই মহাপুরুষের নামকীৰ্ত্তনের সঙ্গে-সঙ্গে, জগতে কিরূপে বিদ্যাবল, বুদ্ধিবল, ধনবল, জনবল, সম্মান, সন্ত্রম লাভ করিয়া মানবজন্ম সার্থক করিতে হয়, শিশুচিত্তে সেইদিকে প্রেরণা দিতে হইবে। ‘নরত্বং দুর্লভং লোকে বিদ্যা তত্ৰ সুদুর্লভা । কবিত্বং দুর্লভং তত্ৰ শক্তিস্তত্ৰ সুদুর্লভা ৷” এ সব সেকেলে শ্লোক এখন বাতিল। এখন বাঙ্গালা দেশে পুত্ৰ জন্মিলেই মাতাপিতা আশা করেন, পুত্র ইংরেজী বিদ্যায় লায়েক হইয়া একটা হাকিম বা উকীল হইবে। ইহাই বাঙ্গালী-জীবনের চরম সার্থকতা । আবার হাকিমের মধ্যে হাইকোটের জজ সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ, উকীলের মধ্যে হাইকোটের ভ্যাকীল সর্বশ্রেষ্ঠ [। যেমন ইলিশের মধ্যে গঙ্গার ইলিশ ! ]। দেখুন, ট্র্যামগাড়ী খামবাজার হইতেই ছাড়ক আর শিয়ালদহ হইতেই ছাড়ক, তাহার গন্তব্য স্থান হাইকোর্ট ; বাঙ্গালীর জীবনশকটও পল্লীগ্রাম বা সহর যেখান হইতেই চলিতে আরম্ভ করুক, তাহার চরম লক্ষ্য হাইকোর্ট। যে উকীল বা হাকিম হইতে না পারিল, সে নিতান্ত পক্ষে “ভাই ভাই ঠাই ঠাই’ হইয়া পাটিখান সুট করিতে-করিতেও হাইকোর্ট পৰ্যন্ত পৌছিবে! “যথা নদীনাং বহবোহন্ধুবেগা: সমুদ্রমেবাভিমুখা দ্ৰবন্তি, তথা তবামী নরলোকবীরা বিশন্তি বক্তান্যভিতে জলস্তি।” । ।