পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১২৩

পাগলা বোরা << \و স্পর্শ করিবেন তাহাই সোণা হইয়া যাইবে, [ ‘সেঁউতি হইল সোণা দেখিতে দেখিতে” ] এই সারিতত্ত্ব শিশুচিত্তে গভীরভাবে মুদ্রিত করিয়া দিতে তইবে । ইহা হইতে প্ৰকৃত রাজভক্তি জন্মিবে। 2N /ਵਿ ਵਰਕ [ ঋ, র, ষ, একই গোত্রের, ণত্ববিধান দেখুন। } রবীন্দ্ৰনাথ কবি, রবীন্দ্ৰনাথ নাটককার, রবীন্দ্ৰনাথ ঔপন্যাসিক, রবীন্দ্ৰনাথ রাজনীতিক, রবীন্দ্রনাথ সমাজ-তাত্ত্বিক, রবীন্দ্ৰনাথ দার্শনিক, রবীন্দ্ৰনাথ শিক্ষক ; কিন্তু রবীন্দ্ৰনাথের শ্রেষ্ঠ পরিচয়-তাহার ঋষিত্ব । মনীষী, শ্ৰীযুক্ত ত্ৰিবেদী মহাশয়ের চরিত্যকথা’য় পড়িয়াছি, তাহার একটি শিশুকন্যা মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুরের ছবি দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “বাবা ! ইনি কি খুব রাগী ? আহা, বেচারার অপরাধ কি ? সে মহর্ষি বলিতে দুৰ্ব্বাসা অষ্টাবক্রের কথাই ভাবিত। রবীন্দ্রনাথ শিশুচিত্ত হইতে এরূপ কুসংস্কার বা অন্ধ ধারণা দূর করিবার জন্যই ঋষিত্ব স্বীকার করিয়াছেন। তিনি দেখাইতে চাহেন, ঋষি বলিলেই জটাজুটধারী তৈল বিনা রুক্ষকেশ, গৈরিকবসন বা দিগম্বর, “জ্বলজ্জটাকলাপস্য ভ্ৰকুটকুটিলং মুখম বুঝায় না। 'সোণার গৌরাঙ্গ’ হইলেই যে গৈরিকধারী হইতে হইবে, এমনও কোন কথা নাই। কেশবচন্দ্ৰ যেমন ‘কমলাকুটীর’ নিৰ্ম্মাণ করিয়া এই তত্ত্ব প্ৰকটন করিয়াছেন যে, কুটার বলিলেই উটজ বা পৰ্ণশালা বুঝায় না, রবীন্দ্রনাথও সেইরূপ ঋষিরূপ ধারণ করিয়া এই তত্ত্ব প্ৰকটন করিয়াছেন যে, ঋষি বলিলেই ‘নিরাহার নিরালম্ব সমাধিস্থ পুরুষ বুঝায় না। হঁহারাই প্রকৃত যুগাবতার। আমাদের শাস্ত্রের কথাও তাই-কলিতে ধৰ্ম্ম কৃচ্ছসাধ্য নহে। শিশুদিগকে ঋষি রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গে ধৰ্ম্মের এই সার