পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৩২

Q R उडीद्र छैख्द्र দেখ, তুমি যে এমনি একটা কাণ্ড বাধাইবে তা” আমি আগেই কতকটা আঁচিয়াছিলাম। যখন আষাঢ়ে সবুজ পত্ৰে’ তোমার “বোষ্টমী’ দিদির পরিচয় পাইয়াছিলাম-(হরিদাসী বৈষ্ণবীর কথা বলিতেছি না, গো, ‘আন্দী বোষ্টমী’র কথা বলিতেছি।)-তখনই বুঝিয়াছিলাম তোমরা এই এক নূতন ধূয়া ধরিলে—সংসারের সঙ্গে আপোষ করিয়া আর থাকিবে না ; আবার সে দিন দেখিলাম ‘শেষের রাত্ৰি’তে বালিকাবধু মণিও ঐ বুলি কপচাইতে সুরু করিয়াছে। critis ( New Woman) ঢংই এই । তোমাদের কয় বোনেরই দেখিতেছি এক ক্ষুরে মাথা মুড়ান। কেবল তোমার বৈমাত্রেয় ভগিনী দুইটি-“নৌকাডুবি’র কমলা ও ‘চোখের বালি’র আশালতা তোমাদের ধারা পায় নাই। তবে তুমি হয়ত নিজেদের সাফাই এর জন্য বলিবে, আশা ও কমলা ত তখনও পর্যন্ত ‘দিল্লীকা লাড়’ স্বামীর আস্বাদ ভাল করিয়া পায় নাই, তাই তাদের স্বামীর প্রতি অত টান ছিল । ‘পনেরো বছর” ধরিয়া স্বামীর সঙ্গে ঘরসংসার করিলে তাহদেরও আড় আড় ছাড় ছাড়া ভাব হইত। হঁ। মেজ বীে ( ঐ দেখ, আগের অভ্যাস মত মুখ ফাঁসকাইয়া “মেজ বৌ’ বলিয়া ফেলিয়াছি), এই জন্যই বুঝি নভেল নাটক বিবাহেই শেষ হয় ? “পশমের কাজের উল্টো পিঠাঁটা আর দেখান। झम्न ना ? তুমি গোপনে গোপনে কবিতা লিখিতে ভালবাসিতে। কিন্তু রামপ্রসাদ যেমন বলিয়াছিলেন, “চিনি হওয়া ভাল নয় মন, চিনি খেতে ভালবাসি’ আমারও তেমনই বলিতে ইচ্ছা করে, কবিতা লিখিয়া মধুর হওয়ার চেয়ে সুখদুঃখময় সংসারের মাধুৰ্য উপভোগ করিবার ক্ষমতাই বড়। তুমি তাহ পারিয়াছ কি ? আশ্চৰ্য্য দেখিলাম, তুমি গোমেষকে