পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা কোৱা )\9R র্তাহারা ছেলের বিবাহ দিয়া রাতারাতি বড়মানুষ হইবার চেষ্টা করিতে সুরু করিলেন। সেই অবধি এই পাপ সমাজে প্রবেশ করিল। পুরীতে গিয়াছ, পুরুষোত্তমের দর্শন পাইয়াছ, আশা পূরাও। স্বৰ্গদ্বার উন্মুক্ত হইয়াছে মনে করিয়াছ, কিন্তু সে স্বৰ্গদ্বার অন্য অর্থে। বৈতরণীর ধারে গিয়া সকল জ্বালা জুড়াইবে ভাবিয়াছ, কিন্তু “এ সে বৈতরণী নহে, স্বামিতাগিনী ‘শ্ৰী'র মত তুমিও তাহা একদিন বুঝিবে। জগন্নাথদেবের মত নব-কলেবর-ধারণের অভিলাষ করিয়াছ, সে অভিলাষও পূর্ণ হইবে, আশীৰ্ব্বাদ করি, “প্ৰফুল্লা'র মত তুমিও ‘নূতন বীে” সাজিবে। আমি বলিয়া রাখিতেছি, যতই ‘কাব্যি কর” “নাটক কর,” আবার এই ঘরেই ফিরিতে হইবে, স্ত্রীলোকের এই ঘরই আপনার ঘর। কলঙ্কিনী শৈবলিনী ফিরিয়াছিল, অভিমানিনী সুৰ্য্যমুখী ফিরিয়াছিল, এত কথায় কায কি, তোমার ছোট বোন মণি পৰ্যন্ত “শেষের রাত্ৰি’তে ফিরিয়াছে, তুমিও ফিরিবে। প্ৰফুল্ল স্পষ্টবাক্যে স্বীকার করিয়াছিল, “এই ধৰ্ম্মই স্ত্রীলোকের ধৰ্ম্ম।” শ্ৰী বুঝে নাই, তাহার ফলে সে নিজেও গেল, একটা সংসার একটা রাজ্যও অধঃপাতে দিল । “হাতে সূতা বাধা’কে ইংরেজীনবীশ কবি বিদ্রুপ করিতে পারেন, কিন্তু হিন্দুর এই বিবাহ-বন্ধন “মুক্তকেশীর শক্ত বেড়া”, ক্ষত্ৰিয়-কন্যা সাবিত্রী দেখাইয়াছিল “এর কাছে যে যম ঘেঁষে না ।” সন্দেহ থাকে, খাটি ব্ৰাহ্মণের ঘরের মেয়ের ‘মন্ত্রশক্তি’খানি পড়িয়া দেখিও । বারে বারে কাল্পনিক জগৎ হইতে দৃষ্টান্ত দিতেছি বলিয়া আমার কথা উড়াইয়া দিতে চাহিবে ; কিন্তু জিজ্ঞাসা করি তোমার কাহিনীটার কতখানিতে “বস্তুতন্ত্রতা’ আছে আর কতখানি নিরবচ্ছিন্ন খেয়াল ? তুমি আমাদের নামে কোনো নালিশ উত্থাপন করতে চাও না লিখিয়াছ। আমিও বলি, “আমার এ চিঠি সে জন্যে নয়”। বিদেশীর গড়া আইনের জোরে তোমার উপর দখল পাইবার জন্য আদালতে দৌড়াই