পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তামাকু-তত্ত্ব ܘ নিবন্ধ পুস্তকপুস্তিকা লিখিত হইয়াছে। তৎপাঠে ধূমপানবিরত নিরীহ ভদ্রসন্তানগণ যথেষ্ট বুকে বল পাইয়াছেন সন্দেহ নাই, কিন্তু অকাট্য বৈজ্ঞানিক যুক্তির দাপটে এ পৰ্য্যন্ত কোন ধূমপায়ী তামাকু ছাড়িয়াছেন, এরূপ কোন রিপোর্ট বা রিটার্ন পাই নাই। দেশে বিজ্ঞানচর্চার অভাবেই অবশ্য এ সব যুক্তিতর্ক মাঠে মারা যাইতেছে। সেই জন্যই, বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদ। আপামর সাধারণের মধ্যে বৈজ্ঞানিক-তত্ত্ব-প্রচারকল্পে যে ব্যবস্থা করিতে অভিলাষী, তাহ অত্যন্ত সমীচীন মনে করি। ইহাও জানি যে, অনেকে তামাকুর নিষ্কারণ-শত্রু—এজগতে কোন বস্তু বা ব্যক্তির বিরুদ্ধবাদী নাই ? যখন ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণেরও শত্রু ছিল, তখন ‘উৎকৃষ্ণ” তামাকুর ও যে শক্ৰ থাকিবে, তাহা আর বিচিত্র কি ? সুরাপান-নিবারিণী, নীলফিতাধারিণী, সুনীতিসঞ্চারিণী, সৰ্ব্ব-নেশাসংশোধিনী প্ৰভৃতি সভার সভ্যগণ তামাকুকেও মদ তাড়ি গাজা গুলি চরস চণ্ডু ভাঙ্গ আফিম মজুম কোকোনের(৮) সঙ্গে একগোত্র (অর্থাৎ এক গোঠের গরু ) বলিতে প্ৰস্তুত । যাহা হউক, এরূপ লোকনিন্দা সত্ত্বেও তামাকু-সেবনের প্রথা যে কস্মিন কালে পরিত্যক্ত হইবে, তাহার কোন লক্ষণ দেখি না। বহু লোকের বিশ্বাস যে, তামাকু আবহমান কাল এদেশে প্রচলিত আছে। ইহা যে খ্ৰীষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে মার্কিন মুলুক হইতে ইউরোপে ও ইউরোপ হইতে এসিয়া-খণ্ডে আমদানী হইয়াছে, আমরা স্নেচ্ছের ভুক্তাবিশিষ্ট মহাপ্রসাদ-জ্ঞানে খাইতেছি, এই ঐতিহাসিক তথ্য বহু হিন্দু আমলে আনেন না। প্রত্নতত্ত্ব ও গবেষণার উপর কি বিকট বিতৃষ্ণা ! (৮) কেহ কেহ বা টানের চোটে কাফি কোকো চা এমন কি সোড়া-লেমনেডুকেও ঐ দলে ফেলেন। ঘোলের সরবীতটা বাকী থাকে কেন ?