পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο 8 Ο मभाgaा5िक-द्रङ्दछ। শ্রেণীতে পড়িলেন ? সমালোচকও আবৰ্জনা ঘাঁটেন, তাই বলিয়া কি তিনি পতিত অস্পৃশ্য জাতির অন্তভুক্ত হইলেন ? যতই চিন্তা করি ততই মনে হয়—লেখকসম্প্রদায় পুরুষ, সমালোচকসম্প্রদায় নারী । পুরুষের কাব্য সৃষ্টি, নারীর কায লালন-পালন । লেখক ব্ৰহ্মার মত সৃষ্টি করিয়া দিয়া খালাস ; সমালোচক ব্ৰহ্মময়ীর মত পালন করিতেছেন ও সংহার করিতেছেন—তিনি এক মূৰ্ত্তিতে জগদ্ধাত্রী, আর এক মূৰ্ত্তিতে কালী করালী শবাসনা লোলারসন। অথবা দেবলীলার কথা ছাড়িয়া নরলোকের কথাই বলি। পুরুষ স্বদেশ-বিদেশ হইতে রোজগার করিয়া অর্থ আনিয়া দেন, হাট-বাজার হইতে জিনিশপত্র কিনিয়া আনিয়া দেন, নারী রাখেন ঢাকেন, ফেলেন। ছড়ান, কাযের জিনিশ কাযে লাগান, আকোযে জিনিশ ফেলিয়া দেন। এই জন্য মনে হয়, সমালোচনা নারীপ্ৰকৃতিরই উপযুক্ত কায । ( সম্মার্জনী যে তঁহাদিগেরই ব্ৰহ্মাস্ত্ৰ । ) আরও একটু প্ৰণিধান করিয়া দেখিলে বুঝিতে পারিবেন যে, এ কাৰ্য্যের ভারগ্রহণে নারীরই প্ৰকৃত অধিকার। সৌন্দর্যের বিশ্লেষণ করিতে, খুত ধরিতে, তাহারা অদ্বিতীয়া। সমালোচনাও ত ক্ষেত্রান্তরে ঐ ধরণেরই কাৰ্য্য। অতএব তঁাহারা ঐ কাৰ্য্যের ভার যত শীঘ্ৰ লয়েন, ততই সমাজের ও সাহিত্যের মঙ্গল। কবে সে শুভদিন আসিবে ? কবে তাহারা সমালোচনা অর্থাৎ সম্মার্জনী-চালনার ভার (শুধু গৃহস্থালীতে নহে, সাহিত্যপ্রাঙ্গণেও ) গ্ৰহণ করিয়া আমাদিগকে কৃতাৰ্থ করিবেন ? কু-লেখকের ঘাড় হইতে ঝাঁটার চোটে অবিদ্যার (দুষ্ট-সরস্বতীর) বোঝা নামাইয়া দিতে র্তাহাদিগের মত আর কে আছে ? কথায় বলে “যার কৰ্ম্ম তারে সাজে, অন্যলোকে লাঠি বাজে।” কথাটা মোলায়েম করিয়া বলিতে গিয়াও দেখিতেছি, এক অনর্থ