পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nò (Gd চুটুকী existence) y < cts, কাযেই আহার-নিদ্রা প্রভৃতি সহরের লোকের নিকট এক একটা উপসর্গ। যেমন ভূতে পায়, পেচােয় পায়, তেমনই তাঁহাদেরও ক্ষুধা পায়, তৃষ্ণা পায়, ঘুম পায়। এই প্রাকৃতিক অভাবগুলা না থাকিলেই যেন তাহদের ভাল হইত। আবার দেখুন, পাড়াগাঁয়ে কোনও প্রতিবেশী আসিয়া জিজ্ঞাসা করে, “অমুক ব্যক্তি বাড়ী আছেন? ? কলিকাতায় জিজ্ঞাসা করে, “অমুক ব্যক্তি ঘরে আছেন?” পাড়াগায়ে ভেদবুদ্ধি নাই, সমস্ত বাড়ীটাতে পরিবারস্থ সকলের সমান অধিকার । সহরে এক এক জনের এক এক খাস কামরা রিজার্ভ করা, সেখানে বাটীর অন্য লোকের প্রবেশ-নিষেধ। পায়রার খোপের ন্যায় এক এক খোপে যোড়ে যোড়ে থাকেন। সেখানেই বামুন-ঠাকুর ভাতের থালা আনিয়া দেয়, পংক্তিভোজনের ব্যবস্থা নাই। আহার-বিহার সব সেই ঘরে। আরও দেখুন, পাড়াগাঁয়ে বলে, “আক্ৰা”; সহরে বলে, “মাগগি”। পাড়াগায়ের লোকে সাধারণতঃ গরীব, তাহদের সুখস্বাচ্ছন্দ্যের আদর্শ নীচু, চড়া দাম দেখিলে তাহারা পেছোঁয়, বলে আক্রা (অক্রেয় ), কিনিবার মত নহে। সস্তা হইলে খাইব । সহরের লোকে বলে, মাগগি (মহাৰ্ঘ ), দাম বেশী, কিন্তু কেনে। দেড় টাকা সেরের পটাল, আট আনা সেরের নূতন আলু, ইত্যাদি। পাড়াগাঁয়ে বলে, কাপড় ‘কাল’, কলিকাতায় বলে কাপড় ময়লা”। সহুরে লোক সৌখীন, কাপড় একটু অপরিষ্কার (ময়লা) হইলেই ধোপাবাড়ী দেয় ; পাড়া গেয়ে লোক যতক্ষণ কাপড় “কাল” অর্থাৎ ময়লা জমিয়া ঘোর কৃষ্ণবর্ণ না হয়, ততক্ষণ ছাড়ে না। ... I পাড়াগাঁয়ে বলে, “সোন্দর’ ( সুন্দর), কলিকাতায় বলে, “ফরশা”। সহরের সৌখীন লোকে ধবধবে রংটা আগে চায়, সর্বদোষ হরে গোরা !