পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ ዓ¢ , নদীয়ায় কুরুক্ষেত্র রাণাঘাট, বগুলা, জয়রামপুর, প্রভৃতি ষ্টেশনের নামের সহিত পরিচিত। আবার নারায়ণপুর, মােঝদিয়া, কুড়ুলগাছি, কৃষ্ণগঞ্জ প্রভৃতি গ্রাম এইসকল ষ্টেশনের নিকটবৰ্ত্তী। ইহা ছাড়া শান্তিপুর, বীরনগর, কৃষ্ণনগর, স্বরূপগঞ্জ, প্ৰভৃতি স্থানের নামও অনেকের সুপরিচিত। প্ৰণিধান করিয়া দেখিলে বুঝা যায় যে, মহাভারতের কাল হইতে ভাষার ক্রমিক বিবৰ্ত্তন-পরিবর্তনে নদীয়া জেলায় অবস্থিত এই সকল স্থানের নামগুলি বিকৃত হইলেও, ইহারা আজও কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ও মহাভারত-বৰ্ণিত অন্যান্য ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন অঙ্গে বহন করিতেছে। (১) প্রথমে নদীয়া নামটাই ধরুন না কেন ? বহু তথ্যভাণ্ডার “নদীয়া কাহিনী” নামক গ্ৰন্থপাঠে অবগত হওয়া যায় যে, কেহ নয়টি দীপ অর্থাৎ প্রদীপ, কেহ নয়টা দ্বীপ, কেহ নূতন দ্বীপ ইত্যাদি রূপে নামটির ব্যাখ্যা করেন । ‘নদীবহুল’ বলিয়া নদীয়া জেলার এইরূপ নাম এই মতবাদও শুনিয়াছি। বাস্তবিক কিন্তু মূল নাম ‘নদী আয়া!” অৰ্জ্জুন ভীষ্মকে গঙ্গাজল পান করাইবার জন্য যখন ভূমিতে শরপ্রয়োগে পাতালগঙ্গা ভোগবতীর ধারা প্ৰবাহিত করান, তখন তদর্শনে সকলে সবিস্ময়ে হিন্দীতে বলিয়া উঠেন ‘নদী আয়া” ! বিস্ময় প্রভৃতির প্রভাবে হিন্দী বাৎ বাহির হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক, ইহা বাঙ্গালীমাত্রেই জানেন। দর্পণকারও বলিয়াছেন, ‘বিষাদে বিস্ময়ে ক্ৰোধে হিন্দিরুক্তির্নি দূষ্যতি!” [ পাতালে চন্দ্রের আদর্শনে ভোগবতীর জলে জোয়ারভাটা হয় না ; তজ্জন্য নবদ্বীপতালবাহিনী গঙ্গায় জোয়ারভাটা নাই । ] (২) এইরূপ, স্বরূপগঞ্জ বিশ্বরূপগঞ্জের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। অর্থাৎ এইস্থানে ভগবান অৰ্জ্জুনকে স্বীয় বিশ্বরূপ দৰ্শন করাইয়াছিলেন। ‘অনেকবাহাদরবক্তানেত্ৰ’ অনন্তরূপ বহুদূর ব্যাপিয়াছিল, সুতরাং রণক্ষেত্র হইতে কয়েক ক্রোশ দূরবর্তী স্বরূপগঞ্জ পৰ্যন্ত বিরাট পুরুষের দেহ স্পর্শ