পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা কোরা و 6 لا করিয়াছিল, ইহা বিচিত্ৰ নহে। অজ্ঞলোকে আদিস্থিত ‘বি’ উপসর্গ বিবেচনায় বর্জন করে। “শ্ব-রূপ’ লিখিলে কদৰ্থ হইয়া পড়িবে আশঙ্কায় নবদ্বীপের পণ্ডিতগণ বেগতিক বুঝিয়া দন্ত্য ‘সি’ দিয়া বাণান প্ৰবৰ্ত্তন করেন । এই স্থানের পবিত্ৰতা স্মরণ করিয়াই শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য “স্বরূপগঞ্জস্য দক্ষিণে ভবিষ্যামি শচীসুতঃ’ বলিয়া অঙ্গীকার করেন। (৩) শান্তিপুরের মহাভারতের শান্তিপর্বের সহিত নিবিড় সম্পর্ক কি আর বুঝাইতে হইবে ? নতুবা ঘোর কলিকালেও কি এই পুণ্যভূমিতে নদীয়ার নিমাইএর শুভাগমন হয় এবং ভীষ্মের তুল্য জ্ঞানী ও পুতচরিত্র অদ্বৈতাচাৰ্য্য ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জন্ম হয় ? (৪) চাকদহ = চক্রহদ। এইখানে কর্ণের রথচক্ৰ বসিয়া যায়। হ্রদ প্ৰাকৃত উচ্চারণে হদ ও পরে (metathesis) বৰ্ণবিপৰ্য্যাসের নিয়মে হাদী = দহ হইয়াছে, যেমন সংস্কৃতভাষায় হিনস্ ধাতু হইতে সিংহ ও খন ধাতু হইতে নখ! এবং বাঙ্গালায় বাসাত, বাসাতা, বাস্ক, ডেক্স প্রভৃতি উচ্চারণ। 唱 (৫) রাণাঘাট=রিণঘট । এইখানে ঘটােৎকচের রণাঙ্গন। বাঙ্গালায় অকার অনেক স্থানে আকার হইয়া যায়, যথা অমাবস্যার সাধারণ উচ্চারণ আমাবস্তা। সম্ভবতঃ, আড়ংঘাটারও হিড়িম্ব-হিড়িম্বার সহিত ঐতিহাসিক সংযোগ আছে। (৬) বগুলা। ইহার সংস্কৃত আকার বক-কুল্য। সংস্কৃতজ্ঞমাত্ৰেই “কুলাল্লা কৃত্রিম সরিৎ’ ইত্যমরবচন জানেন। বেশ বুঝা যাইতেছে যে, এই কুল্য বা জঙ্গাশয়ে বকরূপী ধৰ্ম্ম যুধিষ্ঠিরাদিকে নানা প্রশ্ন করিয়াছিলেন। উক্ত সরিৎ আজও এখান হইতে লোপ পায় নাই, বগুলার অদূরে হাঁসখালিতে ইহা প্ৰত্যক্ষ করিতে পারেন। সম্ভবতঃ, এখানে তখনও এখনকার মত বহু হংস বিচরণ করিত, বকরূপী ধৰ্ম্ম