পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, Syc १कूङ ऊाषा ७ मङिा চোটে সাপ মারিবে, এইরূপ 'রামসুগ্ৰীবয়োরিব’ মিলন হইল। ইহারই ফলে বেদমন্ত্রের প্রচার। এই সর্পবিদ্যাই যে আসল বেদ, এ কথা বেদের KG g(* »Z (2 Sitz “The Sarpavidya is the Veda". (MAX MULLER: History of Ancient Sanskrit Literature, Introduction.) বেদিয়াদিগের মন্ত্রবলেই হউক, আর হাত-সাফাই এর গুণেই হউক, বহু বিষধর সর্প ধূত ও হত হইয়াছিল। কিন্তু সাপ মরিলেও বাতাস পাইয়া বঁচিয়া উঠে, সুতরাং জড় মারিবার জন্য আগুনে পোড়াইতে হয়। এই অগ্নিসংস্কারের প্রয়োজনে বেদবিহিত হোম, যাগযজ্ঞ, ক্রিয়াকাণ্ডের আয়োজন হইয়াছিল। সৰ্পজাতির অগ্নিসংস্কারের একটা মোটামুটি ইতিহাস ‘মহাভারতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই ইতিহাস বিকৃত আকারে লিখিত হইয়াছে। বোধ হয় অপক্ষপাতী বেদব্যাসের রচনার উপর কলম চালাইয়া ব্ৰাহ্মণেরা ইহাতে নিজেদের মাহাত্ম্য খ্যাপন করিয়াছেন, এবং বেদিয়াদিগের কৃতিত্ব-কথা একেবারে চাপিয়া গিয়াছেন। মহাভারতের বহু স্থলে ব্ৰাহ্মণদিগের এইরূপ কারসাজির পরিচয় পাওয়া যায়। এতৎসম্বন্ধে ম্যাক্সমুলার সাহেবের প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাসের অবতরণিকায় বিস্তারিত আলোচনা আছে। উপনিষদ ও দর্শন কালাপানির ওপার হইতে লালপানি আমদানি হইবার পূৰ্ব্বেও এ দেশের লোকের নেশা-করা অভ্যাস ছিল। তবে সে নেশা গাজা, চরস, ভাঙ্গ, আফিম প্রভৃতিতেই আবদ্ধ থাকিত, জলপথে চলিত না। নেশার চরম অবস্থায় যে লেখা বাহির হইত, তাহার নাম “উপনিষদ (*) ইহাই (৫) নেশার শ' ও উপনিষদের 'য' এক নহে বলিয়া সোরগোল করিবার