পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৯৩

পাগলা বোরা > ケや হইল পরা বিদ্যা বা শ্রেষ্ঠ জ্ঞান। এই নেশা একবার অভ্যাস হইলে আর কিছুই ভাল লাগে না, পৃথিবীর আর সব বস্তু ভ্যালসা বলিয়া বোধ হয়, এবং সব ছাড়িয়া এই নেশার উপরই ঝোক পড়ে। এই জন্যই Grifts Ceticists: 3 (festice, -'It has been the solace of my life, it will be the solace of my death'. eyt“ইহা আমার জীবনের সাস্তুনা হইয়াছে, এবং মৃত্যুকালেও সাত্মনা হইবে।” ব্ৰাহ্মণগণ নেশায় যে আনন্দ উপভোগ করিতেন, সেই অভিজ্ঞতার ফলে র্তাহারা সিদ্ধান্ত করিলেন—“আনন্দাদেব খন্বিমানি ভূতানি জায়ন্তে। রসো বৈ সঃ রসোহহে বায়ং লব্ধানন্দী ভবতি ।” এই রসের জন্যই ‘চিরস” নামের উৎপত্তি ; তুরিতানিন্দ বা তুরীয়ানন্দের নামকরণও ইহার প্রসাদাৎ। আনন্দগিরি এই আনন্দ লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছিলেন। উক্ত আনন্দ উপলব্ধি করিবার জন্য সাধুসন্ন্যাসিগণ গঞ্জিকা সেবন করেন। বড়ই পরিতাপের বিষয়, নেশার উপর টেক্স হওয়াতে এক্ষণে দেশে তত্ত্বচিন্তার অবনতি হইয়াছে ও হইতেছে। কেবল বহুমূত্ৰগ্ৰস্ত বৃদ্ধগণ কালাচাঁদের কৃপায় দিব্যচক্ষুঃ লাভ করিয়া আজও ভারতীয় তত্ত্বচিন্তাস্রোতঃ অব্যাহত রাখিয়াছেন, তাহারাই যাহা-কিছু ব্ৰহ্মবিদ্যার আলোচনা করেন। নেশার গোলাপী অবস্থায় সাপ, ব্যাঙ প্ৰভৃতি অনেক রূপ অন্যের অপ্ৰত্যক্ষ পদার্থ দেখা যায়; তদনুসারে উপনিষদের নামকরণ হইয়াছেমাণ্ডুক্য, তৈত্তিরীয়, শ্বেতাশ্বতর ইত্যাদি। রজ্জতে সর্পজ্ঞানও এইরূপ নেশার ঝোঁকে হয়। এই সকল ভুল দেখা সম্বন্ধে যে শাস্ত্ৰে আলোচনা প্ৰয়োজন নাই। শ ষ স বিভেদ পূর্বে ছিল না। পরিষদের সংগৃহীত অমুদ্রিত পুস্তকাবলী দেখিলেই তাহা বুঝা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়-স্থাপনার পর খ্ৰীষ্টান পাদরী কে, এম, ব্যানার্জি হিন্দুদিগকে জব্দ করিবার জন্য পশ্চিম অঞ্চল হইতে পাণিনি আমদানি করিয়া এই সব উৎপাত যোটাইয়াছেন। ;