পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bア。 नरुक्षूऊ ऊांक्षी ७ लांशिऊ রামায়ণের নামকরণ সম্বন্ধেও বহু মতভেদ আছে। কেহ বলেন, রামের অয়ন অর্থাৎ বনগমন, রামবনবাস ইহার আসল আখ্যানবস্তু; সীতাহরণ, রাবণবধ, সীতার বনবাস প্রভৃতি সমস্ত প্ৰক্ষিপ্ত ! কেহ বলেন, রামের কথা আছে এই অর্থে “অয়ন” প্ৰত্যয়, যথা শিবায়ন, রসায়ন ! “লোক-রহস্তে’র লেখক—“রামা যবন’ হইতে রামায়ণ uDuBLYYSTDBB DDSDD S BBDDBDBDBS BDBD DiD LBBBD DBDB বিচারসহ নহে। পলাশীর যুদ্ধের পূৰ্ব্বে হিন্দুদিগের মুসলমানবিদ্বেষ ছিল না । স্বয়ং নবীনচন্দ্ৰ বলিয়া গিয়াছেন ‘যবন ভারতবর্ষে আছে অবিরত সাৰ্দ্ধ পঞ্চশত বর্ষ। এই দীর্ঘকাল একত্রে বসতিহেতু, হয়ে বিদূরিত জেতাজিত বৈরিভাব”—ইত্যাদি । সুতরাং মুসলমানদিগের সম্বন্ধে “রামা’ এবং ‘যবন’ এইরূপ অবজ্ঞাসুচক পদপ্রয়োগ সম্ভবপর নহে। আমার মনে হয়, “রামা” ও “জন” এই দুই পদে “শাকপার্থিবাদিত্বাৎ সমাসঃ’ হইয়া “রামাজিন’ হইয়াছে; অর্থাৎ রামের স্ত্রী “রামা’ সম্বন্ধে যে সব জনপ্রবাদ রাটিয়াছিল, পুস্তকে সেই সমস্ত বৰ্ণিত। জনপ্রবাদ নানারূপ, সুতরাং রামায়ণও নানারূপ,-যথা যোগবশিষ্ঠ রামায়ণ, বালীকীয় বা আর্ষ রামায়ণ, বালরামায়ণ, অধ্যাত্মরামায়ণ, অদ্ভুতরামায়ণ ; ইহা ছাড়া বহু অত্যন্ধুত রামায়ণের খবর দীনেশবাবুর নিকট পাওয়া যায়। আজকাল যেমন অনেকে খেয়ালের বশে “কাজ’ না লিখিয়া “কাব্য’ লিখিতেছেন, সেই রূপ লিপিকরের খেয়ালে “রামাজিনে’র বর্গ জ অন্তঃস্থ য হইয়া গিয়াছে— এবং পরে পদমধ্যবৰ্ত্ত ‘য’ বাঙ্গালীর মুখে উচ্চারণের জন্য ‘য়’ হইয়া অনৰ্থ ঘটাইয়াছে। “রামাজনই ইহার প্রকৃত বাণান ও উচ্চারণ।