পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°ोडा 6ीद्रा R e O উদ্ভিদবিদ্যা উদ্ভিদবিদ্যায় এই ভাষায় অনেকগুলি ভাল-ভাল গ্ৰন্থ আছে। শ্ৰদ্ধেয় শ্ৰীযুক্ত গিরিশচন্দ্ৰ বসু মহাশয় সে সকলের কোন সন্ধান না। রাখিয়া বিদেশীর দ্বারস্থ হইয়াছিলেন। আশা করি, তিনিও একদিন মাইকেল মধুসূদনের মত ইহার জন্য আক্ষেপ করিয়া চতুৰ্দশপদী কবিতা লিখিবেন। ‘রঘুবংশ’ ও ‘হরিবংশে” বাঁশের আওলাত সম্বন্ধে শৃঙ্খলাবদ্ধ আলোচনা আছে। বঁাশের উচ্চতা দেখিয়া কালিদাস ইহাকে ‘সুৰ্য্যপ্ৰভাবে বংশঃ” বলিয়া অতিশয়োক্তি করিবেন এবং উচ্চ বঁাশের সঙ্গে ক্ষুদ্র কচার তুলনা করিবেন (কি সুৰ্য্যপ্ৰভবো বংশঃ কাঁচাল্পবিষয়া মতি: ), কিছুই আশ্চৰ্য্য নহে । ( অনেকে যেমন সরস্বতী লিখিতে স্বরস্বতী লিখিয়া বসেন, সেইরূপ অজ্ঞ লিপিকারগণ “কচা’ না লিখিয়া “কচা’ লিখিয়া বসিয়াছে । ) কচা অৰ্থাৎ ভেরাণ্ডা ( এরণ্ড ) ক্ষুদ্রতার আদর্শ। এই জন্যই প্রবাদবাক্য আছে,-নিরস্তপাদপে দেশে এরণ্ডোহপি দ্রুমায়তে । রঘু অর্থাৎ বিখ্যাত রঘু ডাকাত (শ্ৰীশ্ৰী রাজলক্ষ্মীর রঘুন্দয়ালও স্মৰ্ত্তব্য) যে বঁাশের লাঠি লইয়া ডাকাতী করিত, এই গ্রন্থে প্ৰধানতঃ সেই বঁাশের কথা আছে। এই রঘু ডাকাত ভবিষ্যতে রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হয়েনি। (ডাকাতের রাজবংশের আদিপুরুষ, এই তত্ত্ব বিলাতী লেখক রাসকিন বিশদভাবে বুঝাইয়াছেন)। রঘুণামন্যায়ং বক্ষে’ অর্থাৎ রঘু অন্যায় করিয়া লোকের বুকে বঁাশ ডলিত-ইত্যাদি শ্লোকে কালিদাস রঘু ডাকাতের প্রতি সন্মান-প্ৰদৰ্শনের জন্য গৌরবে বহুবচন প্রয়োগ করিয়াছেন বটে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রঘুৱ কাৰ্য্যটি যে ‘অন্যায়” এই স্পষ্ট বাক্য বলিয়া সৎসাহসের পরিচয় দিয়াছেন ! বাঙ্গালাদেশে বাঁশের আওলাত বেশী এবং এই দেশেই রঘু ডাকাতের বাসভূমি ছিল, অতএব কালিদাস যে বাঙ্গালী ছিলেন, অত্র সন্দেহে ।