পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nò : তামাকৃ-তত্ত্ব তামাকুপন্থীরা শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধৃত করিয়া তাহাদিগের সাধনার প্রণালীর শ্ৰেষ্ঠত্ব সপ্ৰমাণ করেন । তদযথা— তাম্রকূটং মহন্দ্ৰব্যং সেবনে চ মহৎ ফলম। অশ্বমেধসমং পুণ্যং টানে টানে ভবিষ্যতি ৷ শ্লোকটি কন্ধিপুরাণে বা মহানিৰ্ব্বাণ-তন্ত্রে অনুসন্ধেয়। র্তাহারা আরও দেখান যে, কলিহুকা ও কলিকা, এবং কলিকাতা, কান্ধী অবতার ও কলিযুগোৎপত্তি—এগুলি ভাষাতত্ত্বে নিকটসম্পর্কিত। ( আবার ভাষাতত্ত্ব আনিয়া ফেলিলাম। জাত-ব্যবসা কিছুতেই ভুলিতে পারিতেছি না । ) ফলতঃ তামাকু-সেবন আমাদের দেশের ধাতের সঙ্গে এমন মিশিয়াছে, আমাদের অস্থিমজ্জায় এমন প্ৰবেশ করিয়াছে যে, কেমন যেন মনে হয়। উহা আমাদের নিতান্তই আপনার জিনিশ । আমরা পাণ তামাক(১২) এক কোঠায় বা এক পৰ্য্যায়ে ফেলি। বরং অশুচি অবস্থায় পাণ খাওয়ার নিষেধ আছে, কিন্তু তামাকু-সেবনের কোন অবস্থায়ই নিষেধ নাই। “অপবিত্ৰঃ পবিত্রে বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা” ইত্যাদি। নেশা হইলেও ইহা সাত্ত্বিক নেশা । ভগবান নিজ বিভূতিবর্ণনায় যেমন বলিয়াছেন—“কৃষ্ণীনাং বাসুদেবোহহম” তেমনই আরও বলিতে পারিতেন “নেশানাং তাম্রকুটােহহম!” বাস্তবিক, কলীে নাস্ত্যেব নাস্ত্যোব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা । অর্থাৎ কলিতে মানুষ অন্নগতপ্ৰাণ নহে, তামাকু 55-2 | সাধারণ গৃহস্থের পক্ষে গুডুক টানা ও ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের পক্ষে নন্ত লোসা।।(১৩) নিত্যকৰ্ম্মপদ্ধতিরই একটি অপরিহাৰ্য্য অঙ্গ। অতিথি (১২) পাণের অপর নাম তাম্বলে এই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। (১৩) ন্যস্ত লওয়ার অভ্যাস কেবল ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিত ও অধ্যাপক-শ্রেণীর মধ্যে আবদ্ধ। ছিল ( নািস্তপ্ৰিয়াঃ পণ্ডিতা: ) । এখন ধীরে ধীরে ‘সভ্য’ সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপ্ত হইতেছে। বিলাতে একসময়ে স্ত্রীপুরুষে ন্যস্ত লইতেন ।