পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RN দৰ্পহারী মধুসূদন আগন্তুকই কি তোমাদের রাজা ?” সকলে একবাক্যে বলিল, ‘हेनि আগন্তুকও নহেন, ছদ্মবেশীও নহেন, ইনিই পূৰ্ব্বাপর আমাদিগের রাজা ।” তখন বিপন্ন রাজা কাতরনয়নে রাজ্ঞীর প্রতি দৃষ্টিসঞ্চালন করিয়া বলিলেন, “তুমি সতী সাধৰী পতিব্ৰতা ধৰ্ম্মরত, তুমিও কি এই ছদ্মবেশী আগন্তুককে স্বামী বলিয়া গ্ৰহণ করিয়াছ ?” রাজ্ঞী। তদবাক্যশ্রবণানন্তর সিংহাসন হইতে অবতরণ করিয়া গললগ্নীকৃতবাসে ছদ্মবেশী আগন্তুকে’র চরণে প্ৰণত হইয়া ভক্তিসহকারে তাহার পদধূলি মন্তকে ধারণ করিয়া গদগদকণ্ঠে বলিলেন, “প্ৰভু, আমি চিরদিন আপনার চরণাশ্রিতা দাসী। আপনিই আমার গতিমুক্তি।” রাজা একেবারে নির্বাক । তিনি পুঞ্জীকৃত অবমাননা সহ্য করিয়াও দীন ভিক্ষুকের মত তথায় অবস্থিতি করিতেছিলেন, কিন্তু রাজ্ঞীর এই বাক্যশ্রবণে তিনি দুঃখে, ঘূণায়, লজ্জায়, অভিমানে, অবনতমস্তকে সভাতল হইতে বেগে নিম্ৰান্ত হইলেন। কেহই তঁহার গমনে বাধা দিল না। এক নিমিষের জন্য সিংহাসনাধিরূঢ় ‘ছদ্মবেশী আগন্তুকে’র অধরাপ্ৰান্তে মৃদু হাস্য লক্ষিত হইল। রাজসভা হইতে, রাজপুরী হইতে, রাজধানী হইতে নিম্ৰান্ত হইয়া, রাজা নিরাশহীদয়ে নিজের অদৃষ্টবিড়ম্বনার কথা চিন্তা করিতে করিতে প্ৰশস্ত রাজবাত্ম ধরিয়া চলিলেন। এই দুদিনে কোথায় আশ্রয় লইবেন, কি উপায়ে বিপদের প্রতিবিধান করিবেন, কি জন্য এই অচিন্তিতপূৰ্ব্ব বিধিবিড়ম্বন ঘটিল, কোন সমস্যারই মীমাংসা করিতে পারিলেন না। অনেকক্ষণ পথ চলিয়া তাহার বাল্যের কথা স্মরণ হইল, বাল্যে পিতার সঙ্গে রাজধানীর অদূরসংস্থিত তপোবনে সাধুদর্শনে যাইতেন, স্মরণ হইল। সাধুর স্নেহময় ব্যবহারের কথা, জ্ঞানগর্ভ উপদেশবাণীর কথা, মনে পড়িতে লাগিল। সঙ্গে সঙ্গে ইহাও স্মরণ হইল যে, পিতার