পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগল ঝোরা dyr বন্ধ, কলিকা হয়ত ভাঙ্গা, জলটা হয়ত ঝাল হইয়া গিয়াছে, ঠিকরে হয়ত কোথায় পড়িয়া গিয়াছো-অনেক অসুবিধা পোহাইতে হয়, অনেক সময় অপব্যয় হয়, হাত নোংরা হয়, যা’র তা’র হুকায় খাইতে গা ঘিন ঘিন করে, মশারি বিছানা পোড়ে, দাড়িতে আগুন ধরে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর-এক প্যাকেট হাওয়াগাড়ি সিগারেট ও এক বাক্স দুয়ানি-মার্ক দিয়াশলাই পকেটে রাখ, বস, রাজার ও রায়ত নও, মহাজনেরও খাতক নও । তোফা আরাম, যত ইচ্ছা জাল আর খাও। ( প্ৰায় “ঢাল আর খাও” এর ধাক্কা ) । এই সম্বল লইয়া চাই কি দক্ষিণমেরু অধিম”র (দক্ষিণ দ্বারেরই কাছাকাছি) গেলেও আটক নাই। পক্ষান্তরে সিগারেটের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনা যায়। ডাক্তার চুণীবাবু হয়ত বলিবেন, সিগারেটে স্বাস্থ্যের হানিকর অনেক রকম জিনিশ থাকে । কিন্তু এ কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া তাহারই মত বিজ্ঞ বৈজ্ঞানিকগণ স্বচ্ছন্দে অকুতোভয়ে সুস্থশরীরে খোসমেজাজে বাহাল তবিয়তে সিগারেট টানিতেছেন, তাহাও দেখিতেছি। হুকায় যে ভাবে তামাকু খাওয়া হয়, মাখা তামাকুকে যে ভাবে নরম করিয়া ফেলা হয়, জলের ভিতর দিয়া টানিবার সময় ইহার বিষাক্ত ভাগকে যে ভাবে কাবু করিয়া দেওয়া হয়, তাহাতে ইহার উগ্ৰতা অনেকটা কমিয়া যায়, সুতরাং মাদকতাশক্তিও অনেকটা নষ্ট হয়, ইত্যাদি যুক্তিও প্ৰযুক্ত হয়। কিন্তু এ হইল বড় বড় বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, আমরা অব্যবসায়ী, এ সব কথা আমাদের মুখে ভাল শুনাইবে না। আমাদের সাবেক গুডুক খাওয়া ও হালের সিগারেট টানা-এই দুইটি ব্যাপার প্রত্যক্ষ করিয়া, মনে যে ভাবের উদয় হইয়াছে, তাহাই লিপিবদ্ধ করিতেছি। বিজ্ঞানের স্বাস্থ্যতত্ত্বের নজীর তুলিব না, সুনীতির বা সুরুচির দোহাই দিব না। আশা করি, এই মন্তব্য সুধী-সমাজে নিরপেক্ষ ও অপক্ষপাতী বলিয়া বিবেচিত হইবে।