পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R उभी-७९ কৃষ্ণকান্ত রায়, রমণ বাবু, দেবীচৌধুরাণী প্রভৃতি ধনীদিগের প্রসঙ্গে আলবোলা গড়গড় সন্ট্রকার গুণ গায়িয়াছেন। আমরা “রামর্চাদ শুমচাদে’র মত সাধারণ গৃহস্থের কথাই বলিতেছি।(১৮) পরিশেষে বক্তব্য এই যে, গুড়কের পূর্ববর্ণিত সামাজিকতা গুণ থাকাতে কেহ বাড়ী আসিলে আমরা তাহাকে তামাকু সাজিয়া দিয়া অভ্যর্থনা করি। ( ইদানীং চা ও সিগারেট এই সনাতনী প্রথার লোপ করিতে বসিয়াছে।) অতএব, যাহারা প্ৰাচীন সমাজের পক্ষপাতী, আশা করি, তাহারা পূজার বাজারে স্বদেশীমেলায় এক আধ সের ফৌজদারী বালাখানার মিঠেকড়া তামাকু কিনিয়া পল্লীভবনে ফিরিবেন ও দশজন । প্রতিবেশীকে খাওয়াইয়া হিন্দুগৃহস্থের কৰ্ত্তব্য - পালন করিবেন। বলা । বাহুল্য, আমার এই অনুরোধ খাটি নিঃস্বাৰ্থ পরোপকার-কেননা, “জনম অবধি হ’ম”, “ও রসবঞ্চিত’। তথাপি যেমন অবিদিত গুণাপি সংকবিভণিতিঃ কৰ্ণেষু বমতি মধুধারাম। অনধিগত-পরিমলা হি হরতি দৃশং মালতীমালা৷ তেমনি অজ্ঞাতস্বাদ হইলেও মশলাদার তামাকু ভ্ৰাণেই আমাকে মসগুল করিয়াছে। আর শাস্ত্ৰেও আছে-ভ্ৰাণেই অৰ্দ্ধভোজন ! (১৮) ইষ্টমন্ত্রজপ ও পাড়ার বারইয়ারি পূজায় যে প্রভেদ, ফরাসী গড়গড়া গুড়গুড়িতে ও হুকায় সেই প্ৰভেদ। ইতি সুধীভির্বিভাব্যম্।। ৫ ওলুড়, ক্লাবের তৃতীয় সাংবাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে পঠিত ( ৬ই সেপ্টেম্বর ১৯১৩)।