পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা ঝোরা 8 ফুল্প হইল। অন্যে পরে কী কথা, স্বয়ং ‘দিল্লীশ্বরে বা জগদীশ্বরে বা” তাহার নিজ পরিবারমধ্যে উক্তবিধ চিকিৎসার আশ্চৰ্য্য প্ৰত্যক্ষ ফলের কয়েকটী উদাহরণ দেখিয়া তাহাদিগের গুণমুগ্ধ হইয়া পড়িলেন। ( সে সকল ঘটনা ইতিহাসে উঠিয়াছে। ) ক্রমে এই জাতি এদেশে রাজ্যস্থাপন করিলে, তাহাদিগের ও তঁহাদিগের নিকট শিক্ষাপ্ৰাপ্ত ভারতবাসীদিগের চিকিৎসা-নৈপুণ্যে বহুলোক রোগমুক্ত হইতে লাগিল, অকালমৃত্যু একেবারে বাঙ্গালাদেশ হইতে তিরোহিত হইল । “যমরাজ বৎসরের পর বৎসর প্ৰেতপুৱীতে লোকসংখ্যাবৃদ্ধির পরিমাণহ্রাস হইতেছে দেখিয়া, কারণ-অনুসন্ধানের জন্য স্বীয় বাহন মহিষকে ধরাধামে পাঠাইলেন। মহিষ নানা জনপদ ভ্ৰমণ করিয়া অবশেষে বাঙ্গালাদেশে উপনীত হইল। এই সুজলা সুফলা বঙ্গভূমির উর্বরক্ষেত্রসস্তৃত তৃণশম্পদর্শনে মহিষ নিজকৰ্ত্তব্য বিস্মৃত হইয়া পরমসুখে রসনাতৃপ্তিকর কাৰ্য্যে ব্যাপৃত হইল। ইত্যবসরে সবল নীরোগশরীর বঙ্গীয় কৃষকগণ ভোজননিরত মহিষকে কৌশলে রজ্জীবদ্ধ করিয়া ক্ষেত্রকর্ষণ হলচালন প্রভৃতি শ্রমসাধ্য কাৰ্য্যে নিযুক্ত করিল। মহিষ এই অতর্কিত বিপদে কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িল। এইরূপে বহুদিবস। গত হইলে, একদিন “মহিষ ক্ষেত্রপালকে কাৰ্য্যানুরোধে স্থানান্তরপ্রস্থিত দেখিয়া সেই অবসরে রজ্জবন্ধন ছিন্ন করিয়া মহাবেগে স্বদেশ-অভিমুখে ধাবিত হইল এবং নির্বিঘ্নে তথায় প্রত্যাবৃত্ত হইয়া প্রভুর নিকট, নূতন প্ৰণালীর চিকিৎসার প্রভাবে বাঙ্গালীজাতির স্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবনলাভের কথা এবং বলিষ্ঠাকায় বঙ্গীয় কৃষককুলের হস্তে নিজের নিগ্রহের কথা নিবেদন করিল। “যমরাজ প্ৰমাদ গণিলেন। তিনি অবিলম্বে মহিষারূঢ় হইয়া চিন্তাকুলচিত্তে দেবাদিদেব মহাদেবের নিকট প্ৰয়াণ করিলেন এবং তঁহাকে স্তবে তুষ্ট করিয়া মহিষের প্রমুখাৎ শ্রুত সমস্ত বৃত্তান্ত বলিলেন। তচ্ছবিণে