পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS) भञ्क-श्हछे আর দেশের আপামর সাধারণকে আহবান করিতেছি, আসুন আমরা সমবেত চেষ্টায় মিশকের মায়ারূপধারী রাক্ষসের কবল হইতে সোণার বাঙ্গালাকে রক্ষা করি। ঐ শুনুন, বিশেষজ্ঞগণ তারস্বরে বলিতেছেন, এ শত্রুর সহিত সন্মুখ-সমরে বক্ষ্মচৰ্ম্ম শিরস্ত্ৰাণ ধারণ করিতে হইবে না, সামান্য মশারির সাহায্যে শত্রু দমন হইবে ; ইহার জন্য “তৃণীরকৃপণে পূজা” করিতে হইবে না, শেল শূল ভিন্দিপাল আস্ফালন করিতে হইবে না, পাশুপত অস্ত্ৰ, জুম্ভক অস্ত্র, একান্ধী, নিক্ষেপ করিতে হইবে না, কামান পাতিতে হইবে না, কেবল দিন কতকের জন্য ‘তেলা মাথায় তেল ঢালা’ বন্ধ করিয়া ক্যানিস্তার ক্যানিস্তার কেরাসিন লইয়া খাল বিল ডোবা পুকুরে হুড় হুড় করিয়া ঢালিতে হইবে এবং ঝোপজঙ্গলে বনেবাদাড়ে অগ্নিসংযোগ করিয়া খাণ্ডবদাহনের পুনরাভিনয় করিতে হইবে। যদিও এ বাহু অক্ষম দুৰ্ব্বল”, তথাপি জননী জন্মভূমির এইটুকু কাৰ্য্য সাধিতে পরিবে নাকি ? বাঙ্গালা দেশের নিরীহ বৈষ্ণবদিগকে বলিতেছি, যদি তাহারা ইহাদিগকে “কৃষ্ণের জীব’ ভাবিয়া এই মশক যজ্ঞে যোগদান করিতে দ্বিধাবোধ করেন, তবে তাহারা মশকদমনের জন্য বিরাট হরিসঙ্কীৰ্ত্তনের রোল তুলুন ও ভক্তিভরে গদগদকণ্ঠে বিপদভঞ্জন শ্ৰীমধুসুদনকে একমনে ডাকুন“হে হরে মুরারে, মধুকৈটভারে, হে ভূভারহারিন, সুদর্শনধারিন, হে কেশিমথন, দৈত্যদলন, কালীয়দমন, কংসনিসূদন, পূতনানিধনকারণ, এই অদ্ভুতকৰ্ম্ম দৈত্যের গ্ৰাস হইতে মুক্ত করা। ‘নিরাশ্রয়ং মাং জগদীশ রক্ষ ।” আর বাবা ভোলানাথ, সদাশিব, পাগল শঙ্কর, যমরাজের প্রতি আশ্ৰিতবাৎসল্যবশতঃ যে সংহারিক জীবের সৃষ্টি করিয়াছ, একবার রুদ্রমূৰ্ত্তিধারণ করিয়া মহাকাল-বেশে তাহার সংহার সাধিয়া “সপ্তকোটি” বাঙ্গালীকে