পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা কোরা \) সময়ে বাবাজীর সাড়া পাইয়া একটু থিতামত খাইলাম। বাবাজী সব কথা শুনিয়া ফেলিয়াছে না কি ? যদিও আমি ধৰ্ম্মসম্বন্ধে স্পষ্টবাদী, স্বাধীনচিন্তাশীল, কুসংস্কারবর্জিত বীরপুরুষ ( শত্রুপক্ষ নাকি অসাক্ষাতে বলে,-“কালাপাহাড়' ) তথাপি, কেন জানি না, গেীরদাস বাবাজীকে একটু মনে মনে ভয় করিতাম। বাবাজী আমাকে তদাবস্থ দেখিয়া বলিলেন—“বাবুজী, পাগলের মত কি কতকগুলা প্ৰলাপ বকিতেছিলেন, পাষণ্ডের মত কি অজস্র অকথাকুকথা বলিতেছিলেন ?” [ উঃ! লোকটার কি বুকের পাটী ! আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বজাধারী, আমাকে কি না বলে পাষণ্ড! ] “আপনি নাকি শান্তিপুরের পবিত্র মৃত্তিকায় ভূমিষ্ঠ হইয়া লেন ? নদীয়ার পুণ্যভূমিতে না আপনার নিবাস ?” [ বাবাজী ভুলিয়াছিলেন যে, শ্ৰীগৌরাঙ্গের ন্যায় জগাইমাধাইও নদীয়ার অধিবাসী ছিলেন । ] “আচ্ছা, আপনি ত ইংরেজী-বিদ্যাবিশারদ ; টেনিসনের খণ্ডকবিতাগুলির রূপক-ব্যাখ্যায় মজবুত ও মসগুল।” [ বাবাজী আবার এ সব খবরও রাখে ? ] “আর আপনার মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার এই শুষ্ঠামের বঁাশীর মৰ্ম্মার্থটা বুঝিয়া উঠতে পারিলেন না ? ধিক্‌ আপনার বিদ্যাবুদ্ধিকে!” আমি কীল খাইয়া কীল চুরি করিয়া বেশ একটু সপ্রতিভভাবেই ব্ৰলিলাম—“ তা” বাবাজী, তুমিই না হয় আমার মত ইংরেজীনবীশকে রাসলীলার গুহাতত্ত্বটা বুঝাইয়া দাও। পাষণ্ডকে উদ্ধার করিয়া তোমার গেীরদাস নাম সার্থক কর।” বাবাজী গাঢ়স্বরে বলিলেন“তবে শ্রবণ করুন। : “এই শুষ্ঠামের বঁাশী রণভেরী নহে, জয়ঢাকা নহে, “বাজ রে শিঙ্গা বাজ এই রবে” নহে, শ্ৰীভগবানের পাঞ্চজন্য শঙ্খও নহে ; ইহা ‘ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ’ বলিয়া মানুষকে কঠোর কৰ্ত্তব্যপালনে উদবুদ্ধ করে না, যুধ্যস্ব’