পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\96 শু্যামের বঁাশী “এ সব দেবাত্মা অবতারের কথা ছাড়িয়া দিলেও যখন দেখি, বিপন্নের আৰ্ত্তিপ্রশমনের জন্য, রোগীর শুশ্রষার জন্য, নৃশংস সমররাক্ষসের হন্তে নিগৃহীত সৈনিকের সেবার জন্য, কারাবাসীর কষ্টনিবারণের জন্য, মহামনাঃ হাউয়ার্ড ও ফাদার ডামিয়েন, সেবাব্রতধারিণী ফুেরেন্স নাইটঙ্গেল ও দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর প্রভৃতি উৎসৃষ্টপ্ৰাণ, তখনও কি বুঝিতে বাকী থাকে যে, এ সকলকেই “সেই বঁাশীর স্বরে উদাস করে, বল কে ক’রে ধরে’ রাখে” ? সে দিনও যে দামোদরের প্রবল বন্যায় বিপন্ন বিধবন্ত গ্রামবাসীদিগের বিপদুদ্ধারের জন্য দলে দলে বিদ্যালয়ের যুবক চিরাভ্যন্ত বিদ্যাচর্চা ত্যাগ করিয়া দরিদ্র-নারায়ণের সেবায় প্ৰাণ ঢালিয়া দিল, সে ক্ষেত্রেও সেই শ্যামের বঁাশীর করুণ রাগিণী তাহদের কাণে বাজে নাই কি ? “যাক, এ সব গুরুগম্ভীর তত্ত্বকথা হয় তা আপনার কৰ্ণে খড়মের শব্দের মত খটখটায়াতে” । সাধারণ মানবের সাধারণ জীবনের ভিতরও একবার সন্ধান করিয়া দেখুন দেখি, শ্যামের বঁাশীর সুরের রেশ শ্রতি(5ांछद्ध श् कि ना ? “আচ্ছা, আপনার ব্যবসায়ের কথাই ধরুন না কেন ? গুরু প্ৰতিদিনের অভ্যাসমত মনে মনে সাহিত্য-গণিত-দৰ্শন-বিজ্ঞানের কোন কঠিন প্রশ্ন সমাধান করিতেছেন, এমন সময় প্রতিভাজন ছাত্ৰ পাঠ লইতে। ” আসিল, আর গুরু অমনি প্রিয় শিষ্যের আহবানে সেই কঠিন প্ৰশ্ন অসমাহিত রাখিয়া, নিত্যানুষ্ঠিত আলোচনাকাৰ্য্য স্থগিত করিয়া, শিস্যকে । সস্নেহে বিদ্যাদানে ব্ৰতী হইলেন, এই গুরুশিষ্য-সংবাদে সেই প্ৰেমময় পুরুষের বংশীধ্বনি শুনিতে পাইতেছেন না কি ? আবার পড়ুয়া বালক প্রভাতে স্নেহময় গৃহশিক্ষক বা অভিভাবকের ডাক শুনিয়া, সুকোমল শষ্যাতল ত্যাগ করিয়া, সাগ্রহে তাহার সিস্নেহ উপদেশ-বাক্য গ্ৰহণ